নবনীতা,
আজকের আকাশটা কি একবার তাকিয়ে দেখেছো তুমি?
কেমন যেন বিষণ্ণ
নাকি দুঃখী?
-
এ নিয়ে কতদিন তর্ক করেছি
-
এই দেখো, লিখতে বসেই কি বলতে শুরু করলাম
-
কতদিন তোমার দেখা পাইনি, কেমন আছ তুমি?
মেঘ নিয়ে কবিতা লিখবে বলেছিলে
সেটা কতটুকু লিখলে? পেয়েছো পছন্দের উপমা?
যে কবিতার প্রতি ছত্রে তুমি ভালবাসার অঙ্ক করেছো
যে লেখনির প্রতি শব্দে মায়ার পরশ বুলিয়ে দিয়েছো
আমি তো অপেক্ষায় আছি, কবে দেখা পাবো
মেঘের মত ভাসমান তোমার ছত্রগুলো মনের আকাশে।
আরও অপেক্ষা?
সব কাজ শেষে শুধু একটু বাঁচিয়ে রেখেছি কবিতার প্রহর
ব্যস্ততার পরিসীমার আড়ালে
অতন্দ্রীয় মুগ্ধ আবেশে গন্তব্য হারিয়ে
তোমার মাঝে
আমি খুঁজে নেব অচেনা এক মহাকাশের গল্প-
বল কবে শেষ হবে
কবে আমি মুক্তি পাবো
বন্দীত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ রেখেছি আমার মুক্তি
খুঁজে পাবেনা যুক্তি
তোমার ছত্রে বিলীন হয়ে
জাতিস্মর!
এলোমেলো কিছু ছত্রে মনের কথা
-
বলা হয় না কিছুই যার
তবুও কলম চালিয়ে যাই রিক্ত কাগজের জমিনে আড়াআড়ি
ভাবনার আর দ্বিধার সাথে চলে নিয়ত বারাবাড়ি
মুক্তি নেই!
তবে কোথায় গন্তব্য
গৃহহারা, দেশান্তর, গোত্রহীন, জাতহীন, বিলীন, অপসৃয়মান
কোন মোক্ষম শব্দ কি বাদ দিলাম?
যদি কিছু ভুল বলি, তুমি তা শুধরে দিও নবনীতা
সাধ আর সাধ্যের সমতা
করতে পারিনি
নিরাশ হয়েছি কত, আকাশেও বুঝি তারা নেই তত
-
এখান থেকে ওখানে অস্থিরতায় আক্রান্ত
আমি ভারাক্রান্ত
তুমি ডাকবে একবার এই আশায়
আমি কালক্ষেপন করি
লিখে চললাম অসীম ধারার চলমান এক অব্যক্ত চিঠি-
ইতি,
-
-