হযরত ওমর বিন খাত্তাব (রাঃ) কে নামাজের মধ্যে পিঠের পেছনে Stabbing বা ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। খুনীর এই সাহস হয় নাই এই বীর মানুষটার সামনে গিয়ে কিছু করে। আমাদের বর্তমান সমাজের দিকে যদি তাকাই তাহলে দেখবো, পেছন থেকে ছোরা মারার লোকেরই জয় জয়কার। যেদিকে তাকাই এরাই এরা! আগে বেশি বুঝতাম না। শোস্যাল মিডিয়ার জয়-জয়কার যত হচ্ছে তত বেশী চেনা যাচ্ছে এই পিঠের পিছে ছুরি মারা লোকগুলোকে।
কাউকে বাক্যবানে জর্জরিত করে করে কষ্ট দেয়া কিন্তু ছুরিকাঘাতের চেয়েও কোন অংশে কম হয় না। ছুরিকাঘাত পেলে হয় মানুষটা মনে যাবে আর না হয় কিছুদিন ভুগে হয়ত ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু বাক্যবানে ঘায়েল যারা করে অন্যায় ভাবে, তাঁদের এই কাজের পরিণতি শেষ হয় না। মনের ভেতরে কোথাও না কোথাও রয়েই যায়। তবুও বলি! ছুরি যদি মারতেই হয়, দয়া করে সামনে এসে মারুন। সেটা সহ্য করা অপেক্ষাকৃত সহজ। আর ছুরি যদি মারতেই হয়, তাহলে ভেবে দেখুন কাকে ছুরিটা মারছেন আর কেনই বা?
'karma'বা কর্মফল বলে একটা ব্যাপার আছে কিন্তু! কাউকে ছুরি মারার আগে দয়া করে সেটাও একটু মাথায় রাখবেন। বিশ্বনিয়ন্তা কিন্তু চুপ থাকেন একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত। এরপর সেটা মোকাবিলা করতে পারবেন তো? যাদের ভালবাসা শুধু মুখেই থাকে, ভেতরে ভেতরে অন্য কিছু, তারা শুধু ছোরা মারা কেন? ছুরি মেরে ক্ষততে বিষও ঢেলে দিতে দ্বিধা করবে না। এরপর হয়ত সামনে এসে করুণ মুখে বলবে, খুব কষ্ট হচ্ছে? আহারে! ডাক্তার ডাকি? ওযুধ এনে দেই?