-আকাশের তারা কি ছোঁয়া যায়?
-না তো! কেন বলতো? তারা ছুয়ে দেখতে চাও?
-দেখতে চাই! পানি না কেন বলতো?
-পারো না কারণ তারা দূর থেকে দেখতেই ভাল। ছুয়ে দিয়ে যে হাত পুড়ে যাবে।
-আচ্ছা পাহাড়ের প্রতিধ্বনি শুনতে পছন্দ করো?
-না আমার ভাল লাগে না!
-কেন? তোমার নাম পাহাড় উচ্চারণ করবে; ভাল লাগে না?
-আমার নাম ধরে ডাকবে! সেই মানুষটা কই? এজন্য ভাল লাগে না।
-তোমার কি রক্ত জবা ভাল লাগে?
-রক্তের সাথে জড়িত কিছুই ভাল লাগে না!
-রক্ত ছাড়া কি মানুষ বাঁচে?
-হয়ত বাঁচে! আমি জানি না! আত্মাহীন হয়ে যদি বাঁচা যায়, রক্ত ছাড়া কেন নয়?
-কি সব অসম্ভভ কথা যে বলছো! বুঝি না!
-কোনটা অসম্ভব নবনীতা?
-তোমার কথাগুলো! এগুল যদি লিখতে রাখতে!
-কি হতো লিখে রেখে?
-বারবার পড়তে পারতাম?
-ভাল লাগতো তোমার?
-হুম লাগতো!
-সত্যি?
-হুম সত্যিই খুউব ভাল লাগতো আমার!
-তুমি কি রক্ত পছন্দ কর?
-এ মা! সে কি কথা? রক্ত দেখলেই ভয় লাগে!
-ভয় লাগে?
-হুম লাগেই তো!
-তবে যে বললে আমাকে লিখতে?
-কেন লেখার সাথে রক্তের কি সম্পর্ক?
-সম্পর্ক নেই বলছো?
-কখনও দেখিনি।
-দেখতে চাও?
-আমার যে কোন লেখা পড়ে দেখো, সেখানে তুমি গলিত পীচের সাথে মিশে যাওয়া রক্তের গন্ধ পাবে! মরীচিকার পেছনে ছুটে ছুটে পথ হারানো পথিকের হতাশার ক্ষরণ আর সেই সাথে বাষ্পীভূত ভালবাসার অবনমন দেখতে পাবে। আমার লেখাগুলো না তুমি পড়ে দেখেছিলে? তুমি কি সেখানে রক্তের ধারা দেখতে পাওনি?
-কেন এতো কঠিন কথা বলছো?
-কঠিন কি বললাম?
-বলেছোই তো। আচ্ছা একটা প্রশ্ন করি?
-কর!
-যা যা আমাকে বললে, তুমি নিজে কি সেগুলো বোঝো?
-তোমার কি মনে হয়?
-আমার মনে হয় তুমি বোঝ না।
-হয়ত তাই!
-হয়তো?
-হয়তো তাই, হয়তো কবিতা, হয়তো কিছু নিঃশব্দ দীর্ঘশ্বাস।