মাথায় অনেক গুলো গল্পের প্লট ঘুরছে বেশ কয়েকদিন থেকে। লিখতে ইচ্ছা করছে না। কম্পিউটারের সামনে বসলেও লিখতে ইচ্ছা করছে না। অবসাদ লাগে সব কিছুতেই। মনে মনে ইচ্ছা হয় লিখি, আবার পরক্ষণেই হাত গুটিয়ে ফেলি। নিজেকেই বলি, থাক না, কি হবে লিখে? নিজের ভেতরেই এমন দ্বিধাদ্বন্দ্ব চলছে সবসময়। দ্বিমুখী মতামতের সম্মুখীন হচ্ছি নিজেই আর সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছি। এর থেকে মুক্তি পেয়ে উঠে আসতে চাচ্ছি কিন্তু আপাতত সেটা পারার মত কোন উপায় দেখতে পাচ্ছি না। মনের ভেতরে যখন অবসাদ লাগে, তখন কিছুই ভাল লাগে না। চোখের সামনে দেখা জিনিসও মনে হয় দেখছি না। শরীর মন এক অদ্ভুত নৈঃশব্দ্যের দিবে ধাবিত হতে থাকে। মনের ভেতরে যে সব উথাল পাথাল চিন্তা আসতে থাকে, সেগুলোর কোন মূল্য নেই আমি জানি। তবুও মানসিক অবসাদের সময় কেন জানি তুচ্ছাতিতুচ্ছ জিনিসগুলোও অনেক মারাত্মক হয়ে দেখা দেয়। অতি পছন্দের জিনিসও অপছন্দ হতে থাকে।
আজকে সকাল থেকেই মাথায় ঘুরছে ‘বিকল্প’ জিনিস নিয়ে। আওব কিছুর কি বিকল্প হয়? সব কিছুকেই কি আমরা চাইলে আমাদের ইচ্ছেমত বদলে দিতে পারি। মানুষের বিকল্প হয় কতখানি? আমি আমার জীবনে যাদের কে মনের ভেতরে স্থান দিয়েছি বা দিয়েছিলাম, তাদের কোন বিকল্প তো আমি কখনই ভাবতে পারিনি। কিন্তু তাদের কাছে আমার নিজের অনেক অনেক বিকল্প দেখেছি। আমার প্রিয় মানুষগুলোর এই বহুমুখী পছন্দে আমি আনন্দিত। আমার প্রার্থনা আমার এই পছন্দের মানুষগুলো তাদের পছন্দ নিয়ে নিরন্তন ভাল থাকুক। কারণ যেহেতু তাদের কাছে অনেক বিকল্প ব্যবস্থা আছে, আশাকরি তাদের মনে কখনই অবসাদ আসবে না। তারা অনেক আনন্দ দিয়ে সময় পার করবে। প্রতিস্থাপিত মানুষটাকে ভুলে যাবে সহজেই। কিছু কিছু মানুষকে ভুলে যেতে পারা অনেক আনন্দের। আমি আজন্ম এই আনন্দ থেকে বঞ্চিত।