গলা টিপে মারো, বিষ খাইয়ে মারো
পিটিয়ে পিটিয়ে মারো, যেভাবে খুশি মারো
তবুও মেরে ফেলো!
একবারেই মেরে ফেলো।
শ্বাসরোধ করে রেখো না, অন্ধ করে রেখো না
চোখের সামনে যে আলোর খেয়া
তাতে চিরতরে ভেসে যেতে দাও!
ফাঁসিতে ঝুলাও, কন্ঠনালী ছিন্ন করে দাও
বাঁচতে আর চাইবো না, মেরেই ফেলো!
চিরতরে তবে তোমার মনে জ্বালা জুড়োক
তুমি শান্ত হও তোমার সমাজ নিয়ে
তোমার নিজের মনগড়া ব্যাখ্যা করা একপেশে ধর্ম নিয়ে
অধিকার খর্ব করা আইন নিয়ে!
তুমি সুখে থাকো!
আমাকে মরে যেতে দাও।
মৃত্যুর অনিমেষ অনল শিখায় আমায় পুড়ে যেতে দাও
আমি খাঁটি হই; মরে আর একবার মানুষ হই
আমি পরজন্মে বিশ্বাস করি না
তবুও বলি, যদি পরজন্ম বলে কিছু থাকতো
আমি আবার এই শ্বাসরুদ্ধ হওয়া মানুষটাকেই চাইতাম
নিজের হাতে তাকে মেরে ফেলতাম! যন্ত্রণা থেকে বাঁচুক!
ওহ কি অসহ্য যন্ত্রণা!
আমি আকাশ চাইনি
বাতাসের চৌহদ্দিতে সীমানা দাগাইনি
তোমার জমিতে ভাগ বসাতে আসিনি
আমি শুধু বলেছিলাম আমার সাথে হওয়া ঘটনাগুলো
আমার সাথে ঘটে যাওয়া অন্যায় গুলো
শুনলে না! তুমি ধর্মের নামে কাল্পনিক বর্ম পরে আছো
রক্তের বদলে চুষে খাচ্ছো নিজের স্বার্থ
তুমি মানুষের কাছে বড় হতে চাইছো
তুমি দমন পীড়নের নীতিতে আটকাতে চাইছো
ধানের ক্ষেতের বয়ে যাওয়া বাতাসে আমার আর্তনাদ
তুমি বেঁচে থাকো শতাব্দীর মাসীহা হয়ে
তুমি ত্রাতা হয়ে আবির্ভুত হও সমাজের কাছে
তুমি সিংহাসনে বসো আমার কলঙ্কের আলপনা একে
তুমি নৈবেদ্য সাজাও আমার সম্ভ্রম দিয়ে
তুমি টুকরো টুকরো করে দাও আমার অধিকার
তুমি খর্ব করে দাও আমার বেঁচে থাকার অন্তিম আশ
নিজেকে সমর্পন করলাম-
সুযোগ হেলায় ফেলায় নষ্ট করে ফেলো না
হত্যা করে ফেলো আমাকে!
যেভাবে খুশী সেভাবে।
আমি কথা কইতে পারি না
আমি গন্ধম খাই নি- তবুও
আমি নিষিদ্ধ
আমি বিদ্রোহী-
কারণ
আমি আমার মুক্তি চেয়েছি!