প্রিয় নবনীতা,
অনেকদিন পরে আবার লিখছি তোমাকে। ভেবেছিলাম আর কিছুদিন পরে লিখি কিন্তু পরক্ষণেই আবার মনে হল, দেরী করে লিখলেই বা কি হবে? যেটা পরে লিখবো সেটা না হয় আগেই লিখে ফেলি। আমার লেখাগুলাই তো আমার ভালবাসা। হতেও পারে আবার নাও হতে পারে। সম্ভাবনা আমি একদম উড়িয়ে দিতে পারি না। অথবা বলতে পারো আমার না বলা ভালবাসাগুলো আমার লেখার মাঝে বিকশিত হতে চায়।
আজকে একটা অদ্ভুত খেয়াল মাথায় এলো। ভালবাসার মানুষকে আমি আমার মনের কথাগুলো জানিয়ে একটা চিঠি লিখব ভেবেছিলাম। লিখে ফেললাম একটা! অনেকটা সময় লিখে চিঠিটা লিখলাম। এরপর মনে হলে কি লিখেছি একটু পড়ে দেখি। পড়তে গিয়ে আমি নিজেই অবাক হয়ে গেলাম। কই একটা অক্ষরের আঁচড় ও তো নেই কাগজে! তাহলে এতক্ষণ ধরে আমি কি লিখলাম নবনীতা? কি লিখলাম আর কেনই বা লিখলাম? পরে বুঝেছি, এতক্ষণ আমি যা লিখেছি, সব ছিল আমার ভালবাসার প্রতিলিপি। সবকিছু একতরফা। আমার ভালবাসা আমি শুধু এক তরফা ভাবে জানিয়ে গেছি। কখনও উত্তরের আশা করিনি। আমার ভালবাসার মানুষটা কি করে জানবে আমি আসলেই তাকে কতটা ভালবেসেছিলাম! সে হয়ত বোঝেনি! আমি যে তাকে বুঝতে দেইনি। থাকুক কিছু কথা নৈঃশব্দ্যের অক্ষরে লেখা। কিছু ভালবাসা অব্যক্ত থেকেই অনেক কথা বলে দেয়।
আকাশে মেঘ দেখি না অনেকদিন। আজ মনে হচ্ছে একটু মেঘ দেখি। সাদা সাদা তুলোর মতো মেঘ গুলো যখন উড়ে যায়, তখন মনে হয় আমার নিজের মনটাও সুতোয় বেঁধে উড়িয়ে দেই মেঘের সাথে। আমার না বলা কথাগুলো গিয়ে বলে আসুক আমার ভালবাসাকে। আমি যা বলতে পারিনি, মেঘ তার মুখপাত্র হয়ে বলে দিক। আমি মেঘের দিকে চেয়ে থাকলাম অপলক। কত রকম আকৃতি দেখতে পাচ্ছি। কখনও মনে হয়ে পাশ থেকে দেখা সিংহের মুখ, আবার এই বুঝি হয়ে গেল কোন বিষণ্ণ মেয়ের মুখের সিলুয়েট! আমি অপেক্ষায় আছি। কখন মেঘের অবয়বে ঘোষিত হবে আমার ভালবাসার আদ্যোপান্ত!
তুমি ভাল থেকো নবনীতা।
ইতি,
তোমার উত্তর প্রার্থী
এই আমি