কি যেন বল বলি করেও বলা হল না
ভুলে গেলাম সব তোমার ছবির দিকে তাকিয়ে
কত কি যে বলে দিয়ে ভাষাহীনতার এক মূর্তমান প্রতিচ্ছবিতে
আমিও হয়ে গেলাম পানিতে ভেসে যাওয়া
এক শিউলি ফুল
অসাবধানে ঝরে গিয়েছিল নৈবেদ্য’র থাল হতে
ভাসতে ভাসতে ঠিক সেখানেই
যেখানে আনুষ্ঠানিক ইচ্ছে পেয়েছিল বেসুরো স্বাধীনতা
নিজেকে একদম চিরতরে নিরুদ্দেশ করে দেবার পায়তারা
তবুও বাঁধা পড়ে গেলাম তোমার ঐ
কাজল দেয়া চোখের মায়াবী মুর্ছনায়
সাহস করে ভেবেছিলাম একবার বলেই ফেলি
তোমার জন্য আমি অপেক্ষা করবো
দীঘির পাড়ে, খোয়া বিছানো সেই রাস্তার ধারে
শিমুল কাছটার কাছে!
আসবে তো তুমি সব বাধ্যতার সীমা পেরিয়ে?
পারবে ভালবাসতে আমাকে তোমার আটপৌরে জীবনে
পারবে আমাকে হলুদ থেকে সবুজ করে দিতে?
ইসরাফিলের ফুঁৎকারের আগেই তুমি কি পারবে
আমাকে সন্ধান দিতে নতুন এক কাব্য উপত্যকার?
পারবে তুমি পাথরে মায়া বুলিয়ে ঝর্ণা ধারা সাজাতে
আমাকে মানুষ থেকে পাথরে পরিণত করতে?
বল পারবে?