তুমি তো আমায় কখনও ভুলোনি, অশেষ করেছো দাসে
যখন পাশে কেউ ছিলনা, তুমিই শুধু ছিলে পাশে
কেউ যখন বুঝতে পারেনি, কতটুক ছিল ক্ষুধার জ্বালা
তুমিই যুগিয়েছিলে অন্ন তখন, সব দুয়ারে ছিল তালা
একাকী বিজনে অসহায় হয়ে যখনই ডেকেছি প্রভু
তোমায় আমি পেয়েছি কাছে, ছেড়ে যাওনি তো কভু
কষ্টে তোমায় যখনি ডেকেছি, মোচন করেছো দুখ
তুমিতো তবুও চেয়ে ছিলে, আমিই ফিরায়েছি মুখ
রাতের আঁধারে যখন এ ঘরে, কেউ জ্বালেনি বাতি
তখনও তোমায় ডেকেছি কত, তুমিই তো ছিলে সাথী
আপন পরে কিইবা ভেদাভেদ, কেইবা রেখেছে মনে
একাকী নির্জনে কত যে কথা কয়েছি তোমার সনে
রুদ্ধ দ্বারে অশ্রু ফেলে ডেকেছি তোমায় হতাশায়
তখনও তুমি এই অধমে বেঁধে রেখেছিলে মায়ায়
যখন বুঝতে পেরেছি, আমার নেইতো কোন ঠাই
নিরস্ত হয়ে তখনও আমি তোমার কাছেই যাই
আর একটিবার ডেকে নাও তুমি, তোমার ছায়াতলে
আমার এই আর্জিটুকু তুমি যেতে দিও না নিষ্ফলে
সম্পর্কের ধোঁকা চিনে গেছি, চিনেছি রক্তের বাঁধন
তোমাকে শোনাই সব কথা, এ অধম রিক্তের বেদন
এতকাল তোমায় না চিনে, করেছি দারুণ অপরাধ
মহান তুমি ক্ষমা করে ঘুচিয়ে দাও সব অবসাদ
আবার তুমি পথ দেখাও, এগিয়ে নাও সম্মুখপানে
তুমিই তো সে আসন করেছো, আমার সকল ধ্যানে
জানিনা আয়ু কতটুকু আছে, বাঁচবো কতটা দিন
মুক্ত হস্তে যেন যেতে পারি, শুধিয়ে সবার ঋণ
ভুলতে গিয়েও ভুলতে পারিনি আজও আমি যাদের
আমার যত স্মৃতি আছে, তুমি সকলই ভুলিও তাদের
বাঁধনহারা আমি উড়ে যাব ঠিক মুক্ত বিহঙ্গের মত
মুঠো মুঠো আমি কুড়িয়ে নেব আকাঙ্খিত সুখ যত