নতুন করে না হয় লেখা হোক আবার ইতিহাস
দাগাঙ্কিত কিছু অতীতে ক্ষত মুছে
ছেঁড়া সুতোগুলোর মধ্যে জোড়াতালি না দিয়ে
অদম্য এক দাম্ভিকতায় না হয় নিয়ে নেব নতুন কিছু
পা দাবিয়ে দেখবো গায়ের সব শক্তি দিয়ে
কতটা পাথুরে মাটি!
সেখানেই আমি গড়বো আমার
নবদীপ্ত জীবনের এক দুর্দান্ত পুনশ্চ!
গ্লাস থেকে ছুঁড়ে ফেলে দেয়া মানিপ্ল্যান্ট
কি সুন্দর লকলকিয়ে বেড়ে উঠেছে
আগের চেয়েও সতেজ, দুর্নিবার, অলঙ্ঘ্য
মৃত শরীরে প্রান প্রতিষ্ঠা করেছে পরম স্নেহে
লাগেনি কোন পুরোহিতের হাতের ছোয়া, মন্ত্র
মানেনি কোন বিধি নিষেধের অলীক বেড়াজাল
শুধু বাঁচতে চেয়েছিল আগের মত করে
যেখান থেকে উপড়ে ফেলেছিল শ্বাপদ হায়নার দল
ক্ষুধার্ত কুমীরের মত কামড়ে ফালাফালা করেছিল দেহ
স্বাদের তোয়াক্কা নেই, রুচির পরিমার্জন নেই
শুধু চর্ব্য-চোষ্য-লেহ্য-পেয় জীবনের উপজীব্য-
মুখের উপরে বলে দিয়েছি- ‘তুই হ’
আমি নিজেকে আবদ্ধ করেছি উলের কাটায় বোনা
নতুন নতুন বিদ্রোহের বেড়াজালে-
তাই সমাজের কাছে আমি নষ্ট, ভ্রষ্ট, পাপাচারী
তবুও আমি করেছি সন্ধান-
রেখে গেলাম প্রজন্ম তোমার জন্য
আমার স্বেদের পিঞ্জরে একটু একটু করে গড়ে তোলা
এক জীর্ণ কুটির!
জমাট রক্তের বাঁধনে লেখা এক নতুন প্রারম্ভিকতা
যেখানে দাঁড়িয়ে রয়েছে আমার নতুন গড়া ভিটা।