ফোঁটা ফোঁটা সুখ ঝরেছিল দাহিত এক মধ্যাহ্নে
বৃষ্টির ধারায় নেমে এসেছিল অজর তৃষ্ণা,
তোমাকে দেখবো বলে তোলপাড় করেছিলাম
পিচ দেয়া খন্ড বিখন্ড কালো রাস্তার এপাশ ওপাশ
পায়ে পায়ে ছলকে ওঠা কাদামাটির ব্যঙ্গ বিদ্রুপ শুনছিলাম
শ্লেষের সাথে করা প্রশ্নের কোন উত্তর আমি দিতে পারিনি
এখন কেন তবে মনে পড়ছে তোমাকে?
যখন পাশে ছিলে তখন তো খুঁজিনি
কাজের পর কাজের দোহাই দিয়ে চলে এসেছি-
মায়াবী মুখের অব্যক্ত ভাষায় বলেছিলে,
পথিক আরেকটু থেকে যাও-
আবার যদি সহসা দেখা না হয়!
আমি দুর্বার গতিতে শব্দ তুলে
নেমে এসেছিলাম সিঁড়ি দিয়ে
সেদিন কি বৃষ্টি হয়েছিল?
অঝোর ধারায় নেমেছিল নিশ্চই
ইটের গাঁথুনিতে বেড়ে ওঠা জন্মান্ধ বোঝেনি তীব্র সুখের স্নিগ্ধতা
শকটে বন্দী শরীর, চলেছে দুর্বার গতিতে,
অজানা গন্তব্যে
আকন্ঠ তৃষ্ণাটুকু বিসর্জন দিয়ে-
সেই ভাল ছিল যদি না আর ফিরে আসতে চাইতাম
আর তো পারি না আমি,
শেষ হয় না প্রতীক্ষা
এখন আমি বসে বসে বৃষ্টি মাখি,
গুনতে থাকি সুখের ফোঁটা
মুঠো মুঠো করে রোদ জমিয়ে রাখছি বিনিদ্র রাতের জন্য
কালের সুতোয় গেঁথে নিচ্ছি কবিতার ছত্রগুলো
আজ আর কোন ছলনা করবো না, সব তোমার জন্য
তোমাকে দেখার জন্য জন্য আমি আজন্ম তৃষ্ণা বুকে করে
ইটের পরে ইট সাজিয়ে বানিয়েছি এক দুর্ভেদ্য কারাগার
নতুন করে নিজেকে জন্মান্ধ বানিয়ে নিয়েছি আবার
শুধু আরেকটিবার তোমাকে দেখবো বলে
বড়ো ইচ্ছে হয় তোমাকে আরেকটিবার কাছে পাবার
সুখের বৃষ্টির আকন্ঠ তৃষ্ণার মত-
শুধু আরেকটিবার!