আজ যদি সময় হয়, তাহলে শোনাব
এক রুগ্ন আলিঙ্গনের গল্প
সে সাথে এক মরা ফিঙের উপাখ্যান
এই তো কতদিন হয়ে গেল,
যখন কবিতা লিখতাম
কখনও ভোরের ছায়া দিয়ে,
কখনও মধ্যাহ্নের উত্তাপ শুষে
নিথর বিকেলের অব্যক্ত যন্ত্রণার ভাঁজে
আবার কখনও সাঁঝের আবির স্পর্শ করে
নিশুতি রাতের অপেক্ষায়...
বালিশে লবণের দাগ,
সীমানা বিস্তার করে নির্লজ্জ ঔদ্ধত্যের সাথে
বাড়তে থাকে কোলাহল
রুদ্ধ দুয়ারে করাঘাত...
সে সাথে ঘুণপোকার তাল মেলানো কোরাস
মনে করায় মোঘল হেরেমের নিষিদ্ধ ফোঁপানির বাষ্প
আমি কল্পনার আড়মোড়া ভেঙ্গে এগিয়ে যাই মেঝে ঘষে ঘষে
পক্ষাঘাত রোগীর মত,
অকেজো শরীরের অর্ধেকটাই
দরজা খুলতে গিয়েই দম ফুরিয়ে যায় আমার
হাপরের মত ওঠানামা করা বুকে বাতাস আটকে গেছে
অর্ধোন্মুক্ত দরজার দুপাশে হাত দিয়ে দুদন্ড শ্বাস নিতে চাইলাম
আলিঙ্গন ভেবে ভুল করলে,
করজোড়ে মিনতি করে বলি
ফিঙেটা মনে হয় আর বেঁচে নেই এতক্ষণ
প্রদীপের দপদপ শব্দে শেষ জ্বলা ওঠার মত
পাখিটি আমাকে ডেকেছিল...
আমি তখনও চৌকাঠের ওপাশে
নিষ্ঠুর আলিঙ্গনের মধ্যে শুনেছি বৈভব বিধাতার অট্টহাসি