আকাশপানে চেয়ে দেখি বসেছে শূন্যের সমারোহ
তবুও দৃষ্টি সেথায় যাবেই, করে বসেছে বিদ্রোহ
আগে যেখানে তারা ছিল, এখন সেখানে অগ্নিবলয়
মন যা পেয়ে শান্ত হত, এখন সেখানে শুরু প্রলয়
ফিরে ফিরে আসি তোমার কাছে জানি ডাকবে না
দূর থেকে দেখে আবার চলে যাই, তুমি জানবে না
জীবন বুঝি এভাবেই প্রতিনিয়ত অজানায় সমর্পিত
নিজেকে করা প্রশ্নগুলো কেন নিজের কাছেই অন্তর্হিত?
এটাই কি ছিল তবে তোমার দেয়া বাঁচার নব উপাখ্যান
রাতের পর রাত জেগেও পাওয়া গেল না যার সমাধান?
জানালা খুলে আকাশ দেখে ভেবেছিলাম পাব সান্ত্বনা
কোথায় আকাশ? সবই তো বিকৃত হাসির কুমন্ত্রণা
দিনের আলোয় হাজার ডেকেও সাড়া মেলেনি যার
আজ কেন রাতের আঁধারে সেই আনে স্মৃতির সম্ভার?
আজ বলতে শিখেছি, আমার লাগবে না কোন কিছু
দূর পানে যত দৃষ্টি দিয়েছি, ফিরে এসেছে আমার পিছু
অতীতের কাছে যখন বলেছি, চাই না তোমার করুণা
অকাতরে দিয়েছে দু’হাত ভরে, শোনেনি বারণ মানা
বন্ধু তুমি কি ছত্রে ছত্রে খুঁজে চলেছো লেখার মিল?
কবিতা তো রয়েছে অন্তত জুড়ে, অপার বিশ্ব নিখিল
যে তুমি দখল করে ছিলে আমার সারাটা চেতন মগন
সেই তুমি আজ কোথা গেলে, কি ছিল সে প্রলোভন?
আকাশের ক্যানভাসে মনের তুলিতে এঁকেছি যত ছবি
অবজ্ঞায় তুমি এড়িয়ে গেছ, হারিয়ে ফেলেছো সবই
বৈশাখী ঝড়ের মতই, তোমার অবকাশ ছিল অল্প
তোমাকে নিয়ে লিখে ফেলেছি কত না ছোট গল্প
অতীতের তারা দেখে ভেবেছিলাম হয়ত তুমি বুঝবে
দুরাশা করেই ভেবেছিলাম একদিন আমায় খুঁজবে
সব প্রাক্তন আশা আমার কাছে সাজিয়েছে সম্ভার
মিনতি করেছি কত, তবু সময় হয়নি তোমার!
যখন আমি ভেবেছিলাম বুঝি ছিঁড়েছে ভাগ্যের রশি
তখন মনে শক্তি পেয়েছি দেখে অনন্ত একাকী শশী
যখনই মনে হয়েছে আমার আমি বুঝি কত একা-
তখনই মনের আকাশে একেছি অজানা আলোকরেখা
তবুও তো আমি মানুষ! নিবে কি তুমি ব্যথার দান
তিল তিল করে শেষ হয়েছে বাঁচিয়ে রাখা যত মান
আমি তো কিছুই দেখতে পাইনি, তোমাতে ছিলাম অন্ধ
তোমাকেই যখন ডাকতে গিয়েছি, দুয়ার করেছো বন্ধ
বন্ধ দুয়ারে ডেকে ডেকে করেছি কত না করাঘাত
শব্দগুলো নিরাশ হয়ে আমায় করেছে অভিসম্পাত
যতবার আমি ফিরতে চেয়েছি আমার শিকড়ের কাছে
বাঁধা পেয়েছি, থমকে দেখেছি কেউ কি ডাকে পিছে?
ক্লান্ত পথিক হয়ে একাকী চলেছি দগ্ধ আঁধার রাতে
আলো বুঝি দেখা হবে না আর কোন অজানা প্রভাতে
তবুও আকাশ পানে চেয়ে দেখেছি সেথা শূন্যের সমারোহ
অবসন্ন মন প্রশ্ন করেনি, আর করতে চায়না বিদ্রোহ।