কেমন ছিলাম আমি?
কেমনই বা কল্পনা করেছিলাম নিজেকে?
আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে মনে হয়েছে
এটা কি সত্যিই আমি? না কোন অলীক প্রতিবিম্ব?
নিজেকে তো কখনও বাস্তব মনেই হয়নি
মুখোশের পৃথিবীতে আমিও এক জীবন্ত মুখোশ
কেমন ছিলাম আমি জানার সুযোগ পাইনি
দিগভ্রান্ত হয়ে ভেসেছি-
কখনও বাতাসে, কখনও কল্পনার সাগরে
কখনও আটকে গেছি জানালার ওপাশে
নিজের ভেতরে নিজেকেই পাইনি আমি
ভ্রমের নিষেক কখন শেষ হয়েছিল বুঝিনি
বাস্তবতার আভরণ কখন খোলা হয়েছিল দেখিনি
আয়নার সামনের অবয়বকে দেখে মনে হয়নি ওটা আমি
জীবনের প্রয়োজনে লাটিম হয়েছি
কখনোও হয়েছি ঘুড়ির লাটাই
আবার কখনো সুতো কাটা ঘুড়ির মত উড্ডীন
আশ্রয়হীন কোন এক মোহের আকাশে
তবুও বাঁচতে চেয়েছিলাম
হাপরের মত ক্লান্ত বুকে প্রার্থনা করেছিলাম
ইশ্বর দেখা দাও- শোন আমার আর্তনাদ
ইশ্বর আসেন নি, আসেন না কখনও
যবনিকার আড়াকে দাঁড়িয়ে হাসেন
বর্তমানের অস্পৃশ্যতাকে ধোঁয়াশা বানিয়ে দেন
শুরু করেন এক নতুন অধ্যায়ের
স্বপ্নের গন্ধে ছুটে গেছিলাম মাতোয়ারা হয়ে
যদি স্বপ্নের আবির একটু গায়ে মাখতে পারি এই আশায়
যখন গিয়েছি, সব বন্টন শেষ-
মাথা নিচু করতেই এক ফোঁটা অশ্রু পড়েছিল কাঁচে
আবার বিভ্রমে আমি-
কাঁচ নয় আয়নার ভেতর তো আমি নই,
প্রতিবিম্বে তুমি, দাঁড়িয়ে হেসেছিলে আমার সামনে
নুহের প্লাবনের মত ভেসে গিয়েছিল যত গ্লানি
আয়নার ওপাশ থেকে দিয়েছিলে হাতছানি
বুঝেছি এইতো আমার প্রার্থনা-
একদম আমার অবিকল, আমার মত তুমি।