**লেখালিখি এবং আমি-১
আমি তেমন কিছুই লিখতে পারিনা। তবুও এটা ওটা লিখে পোষ্ট দিতে থাকি। আমার লেখাগুলোর অর্থ কিন্তু নিজেকে লেখক হিসেবে জাহির করা না। বরং নিজের অর্জিত কিছু সারাংশ রেখে যাওয়া। একসময় আমরা থাকবো না। যদি আমার লেখা কেউ নাও পড়ে, তবুও মনে হয় কোথাও না কোথাও আমার চিহ্ন হয়ে লেখাগুলো হয়ত রয়ে যাবে। কেউ জানবে না তাতে কোন ক্ষতি নেই। যতটুকু সময় লিখি, ততটুকু সময় একান্তই নিজের বলে মনে হয়। আমরা অন্যের জন্য সময় দিতে দিতে নিজেকে এভাবে নিঃশেষ করে ফেলি যে কখন যে আমরা শেষ হয়ে যাই নিজেরাও বুঝি না।
আমাদের নিঃশেষ হয়ে যাওয়া অনেকটা অগোচরে মৃত্যুর মত। লেখকদের মধ্যে অভিমান কতটা থাকে জানি না। কিন্তু আমার মনে হয় অভিমান যদি না থাকতো তাহলে আমি মনে হয় লিখতে পারতাম না। খুব আনন্দ মনে নিয়ে, অথবা নিজেকে পরিপূর্ণ মনে করে কেউ কখনও লিখতে পেরেছে কিনা আমি জানি না। বরং আমার মনে হয়, নিজের ভেতরের অতৃপ্তি থেকে বা অভিমান বোধ থেকে মনের ভেতর যে হাহাকার জন্ম নেয়, লেখালিখির উৎস মনে হয় সেটাই।