২৫ মে ২০২০

মহাগ্রন্থ ‘কুর’আন’ এর কিছু অন্যরকম তথ্য

= = = = = = = = = = = = = = = = =

 

ইসলাম ধর্মের ধর্মগ্রন্থ ‘কুর’আন’ এর ভাষা আরবী এবং কুর’আন শব্দের অর্থ ‘বহুল পঠিত’। বিশ্বে সর্বাধিক পঠিত গ্রন্থসমুহের ভেতর মহাগ্রন্থ কুর’আন নিঃসন্দেহে অন্যতম। ইসলাম ধর্মের বিশ্বাস অনুসারে, শেষ নবী বা স্রষ্টার প্রেরিত দূত (রাসূল) হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর উপরে অবতীর্ণ স্রষ্টার ঐশীবাণী (ওহী) এর পূর্ণাঙ্গ লিখিত রূপই হচ্ছে কুর’আন। ছোটবেলা থেকেই কোরানের গাঠনিক কিছু বিষয় খুঁজে বের করার ইচ্ছা আমার সবসময় ছিল। সেগুলো জানতে আমি বিভিন্ন সময়ে অনেক আলিম, হাফিজ কে জিজ্ঞাসা করেছি, এবং নিজে যাচাই বাছাই করে সেগুলো অবগত হয়েছি। কুর’আনের সাধারণ তথ্যাবলি সকলেরই জানা আছে। সূরার সংখ্যা বা আয়াতের সংখ্যা ইত্যাদি। আমি চেষ্টা করবো এমন কিছু তথ্যের সন্নিবেশ করতে যেগুলো সচারচর আলোচনায় আসে না। তেমন কিছু তথ্য উল্লেখ করছি। পাঠকে যদি এমন ব্যতিক্রমী কিছু জানা থাকে তাহলে আমাকে জানালে উপকৃত হব।

 

১। দীর্ঘতম আয়াত (স্তবক)- সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত নং ২৮২

 

২।  ক্ষুদ্রতম আয়াত – সূরা ত্বহা, আয়াত নং -১

 

৩। ‘ক্বুল’ অর্থাৎ ‘বলুন’ এই শব্দযোগে শুরু হয়েছে ৫ টি সূরা (সূরা জ্বিন, সূরা কাফিরুন, সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক্ব, সূরা নাস)

 

৪। অক্ষর ধ্বনিসূচক দীর্ঘতম আয়াত- সূরা মরিয়াম আয়াত-১ (কাফ-হা-ইয়া-আঈন-স্বদ)

 

৫। কুর’আনের সারাংশ বলা হয় সূরা ফাতিহাকে। এই সূরার সাতটি আয়াতকে বিশেষ মর্যাদায় ‘সাব’এ মাসানী’ বলা হয়।

 

৬। একসাথে অবতীর্ণ হওয়া বৃহত্তম ঐশীবাণী- সমগ্র সূরা কাহফ। ১১০ আয়াত সম্বলিত সমগ্র সূরাটি একসাথে অবতীর্ণ (নাজিল) হয়।

 

৭। নবীদের মধ্যে নামোল্লেখ হয়েছে সবচেয়ে বেশি হযরত মূসা (সাঃ) এর নাম। ১২৪ বার।

 

৮। শেষ নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রধাণ নাম ‘মুহাম্মাদ’ উল্লেখ হয়েছে চার বার। (সূরা আলি ঈমরান আয়াত-১৪৪, সূরা আহঝাব আয়াত-৪০, সূরা মুহাম্মাদ আয়াত-২, সূরা ফাতহ আয়াত-২৯), আর উনার দ্বিতীয় বৈশিষ্ট্যপূর্ণ নাম ‘আহমাদ’ উল্লেখ আছে ১ বার (সূরা সফ আয়াত-৬)

 

৭। যে সমস্ত পশু এবং পতঙ্গের নামে সূরার নামকরণ হয়েছে সেগুলো হল- গাভী (বাকারাহ), নাহল (মৌমাছি), নামল (পিঁপড়া), আনকাবুত (মাকড়শা), ফিল (হাতি)

 

৮। সূরা মুজাদালাহ এর প্রতিটি আয়াতে মহান স্রষ্টার সত্ত্বাগত নাম ‘আল্লাহ’ শব্দটি বিদ্যমান।

 

৯।  সর্বপ্রথমে অবতীর্ণ হয় সূরা আলাক্ব এর ১-৫ নং আয়াত।

 

১০। সর্বশেষ অবতীর্ণ হয় সূরা বাকারাহ এর ২৮১ নং আয়াত।

 

১২। ৫ টি সূরা আছে যাদের প্রতিটি আয়াতের শেষ অক্ষর ‘র’ আরবীতে (ر)। সূরাগুলো হল- সূরা ক্বমার, সূরা ক্বদর, সূরা আসর, সুরা কাওসার, এবং সূরা নাসর। সূরাগুলোর নামের শেষাক্ষরও কিন্তু সেই একই অক্ষর ر

 

১৩। সবচেয়ে বেশী যে আয়াতটি পূর্নাঙ্গ রূপে পুনরাবৃত হয়েছে সেটি হল সূরা আর-রহমান এর আয়াত “ফাবি আইই আ-লা-ই রব্বিকুমা তুকাজ্জিবান” যা ৩১ বার একই সূরায় পুনরাবৃত হয়েছে।

 

১৪। দ্বিতীয় সবচেয়ে বেশী পুনরাবৃত পূর্ণাংগ আয়াত “ওয়াইলুই ইয়াওমা ইজিল্লিল মুকাজ্জিবিন” যা সুরা মুরসালাতে উল্লেখ আছে ১০ বার। এছাড়া এই আয়াত সূরা মুতাফফিফিন এবং সূরা ত্বুর এ (ফা-উপসর্গ যোগে) উল্লেখ আছে।

 

১৫। আরবী ২৯ হরফ বা অক্ষরের সবগুলোর উপস্থিতি একসাথে পাওয়া যায় দুটি আয়াতে। এগুলো হল- সূরা আলি ঈমরান আয়াত ১৫৪ এবং সূরা ফাতহ আয়াত ২৯।

 

১৬। তিনটি পারা’র (বিভাজন) একত্র উপস্থিতি আছে দুটি সূরার ভেতর। সুরা বাকারাহ (পারা ১,২,৩) আর সূরা নিসা (পারা ৪,৫,৬)

 

১৭। আলোচিত কয়েকজন নারীর কথা উল্লেখ থাকলেও কুর’আনে সরাসরি নামোল্লেখ আছে একমাত্র ‘মারিয়াম (আঃ)’ এর। তার নামে পূর্নাঙ্গ সূরাও আছে সুরা মারিয়াম।

 

১৮। সাহাবী বা নবীজীর পূন্যাত্মা সহচরগণের মধে সরাসরি নামোল্লেখ আছে মাত্র ১ জনের। তিনি হলেন হযরত জায়েদ বিন হারিসা (রাঃ)। সূরা আহঝাব আয়াত ৩৭।

 

১৯। সর্বপ্রথম অবতীর্ণ হওয়া সিজদার আয়াত সূরা নাজমের শেষ আয়াতটি।

 

২০। সুরা তাওবা’র শুরুতে ‘বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম’ চিহ্নিত নেই। সূরা নামলে এটি উল্লেখ আছে দুইবার। শুরুতে এবং আয়াত ৩০ এ।

 

২১। সুরা মুজ্জাম্মিলের শেষ আয়াতটি নিজেই একটি রুকু বা অনুচ্ছেদ। এক আয়াত বিশিষ্ট কুর’আনে আর কোন রুকু বা অনুচ্ছেদ নেই।

 

২২। প্রথমবার এবং দ্বিতীয়বার কুর’আনের আয়াত অবতীর্ণ হবার মধ্যে সময় দীর্ঘতম ছিল। প্রায় আড়াই বছর।

 

২৩। সর্বপ্রথম ‘বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম’ লিপিবদ্ধ করে ওহী বা ঐশীবাণী লেখা শুরু করেন সাহাবী হযরত খালিদ বিন সাঈদ বিন আ’স (রাঃ)। উনি সর্বপ্রথম কোরাণের আয়াত লিখে প্রথম ওহী-লেখক অর্থাৎ আরবীতে কাতিবে-ওহী হন।

 

২৪। আরবী দু’টি অক্ষর ‘ذ জাল’ এবং ‘ش শীন’ এ ধ্বনিচিহ্ন ‘তানবীন’ এর ‘দুই পেশ’ সমগ্র কোরাণে উল্লেখ আছে মাত্র একবার করে। জাল-এ দুই পেশ আছে সূরা হুদ আয়াত-৫৬ তে এবং শীন-এ দুই পেশ আছে সূরা নামল আয়াত-২৩ তে।  

 

২৫। ‘ইয়া আইউহাল্লাজিনা আমানু -’ অর্থাৎ ‘হে বিশ্বাসীগণ-’ এই আহ্বান দিয়ে সূচিত হয়ে ৮৯ টি আয়াত। এর মধে ৮৮ এই আয়াতে শুরুতে এবং কেবলমাত্র একটি আয়াতে এটি মাঝে এসেছে, সেটি সূরা আহঝাব আয়াত ৫৬


২৬। ইসলাম ধর্মের মূলমন্ত্র/বাক্য ‘কালিমা তাইয়্যেবা’ এর প্রথমাংশ ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লহ’ এর পূর্ণাঙ্গ এই রূপ কোরানে দুইবার উল্লেখ আছে। সূরা সফফাত আয়াত- ৩৫ এবং সূরা মুহাম্মাদ আয়াত-১৯। আর দ্বিতীয় অংশ এবার উল্লেখ আছে সূরা ফাতহ এর শেষ আয়াতের প্রথমাংশে অর্থাৎ আয়াত নং ২৯।

 

২৭। সৃষ্টিকর্তার নাম ‘আল্লহ’ এর আ-ধ্বনিকে প্রলম্বিত করে ‘আ—ল্লহ’ এভাবে অর্থাৎ প্রশ্নোত্থাপনের নিমিত্তে “আল্লাহ কি নন...” বুঝাতে ‘আ—ল্লহ’ শব্দটি কোরানে দুইবার উল্লেখ আছে। সূরা ইউনুস আয়াত ৫৯ এবং সূরা নামল আয়াত ৫৯।

 

২৮। আল্লহ শব্দের ‘হা’ ধ্বনিতে স্বরধ্বনি ‘ই’ উচ্চারণের নিমিত্তে ‘যের’ দিয়ে ‘আল্লহি’ এভাবে আছে একবার। সূরা ইব্রাহিম আয়াত ২

 

২৯। সমগ্র কোরান ঠিক দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায় সূরা কাহফের আয়াত-২০ এর “ওয়ালয়াতালাত্তফ” শব্দের ভেতরে।

 

৩০। নবী ঈসা (সাঃ) নামই একমাত্র তার মাতার নাম সহযোগে কোরানে তার দুটি নাম ‘ঈসা’ ও ‘মসীহ’ দিয়ে উল্লেখ আছে। ‘ঈসাবনু মারয়াম’ এবং ‘মাসীহুবনু মারয়াম’। এর অর্থ যথাক্রমে ‘মারয়াম পুত্র ঈসা’ এবং ‘মারয়াম পুত্র মসীহ’।

 

৩১। ‘মারয়াম’ এবং ‘ইয়াহয়া’ এই নামদ্বয় স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা কর্তৃক নির্বাচিত। সূরা আলি ঈমরান আয়াত-৩৬ এবং সূরা মারয়াম আয়াত-৭ দ্রষ্টব্য।

 

৩২। কোরানে সর্বমোট ২৫ জন নবীর নাম সরাসরি উল্লেখ করা আছে।

 

৩৩। ২০০ বা তদূর্ধ্ব আয়াতের সূরা আছে মোট ৪ টি। আয়াতের উর্ধ্বক্রমানুসারে এগুলো হলো- সূরা আলি ঈমরান (২০০), সূরা আরাফ (২০৬), সূরা শু’আরা (২২৭), সূরা বাকারাহ (২৮৬)।

 

৩৪। অক্ষর ধ্বনি বিশিষ্ট ‘দুইটি’ পুর্ণাঙ্গ আয়াত আছে শুধু সূরা শুরা তেই। আয়াত ১,২ (১-হা-মিম। ২-আইন-সিন-ক্বফ)। অন্যান্য শুরার শুরুতে একটি করে অথবা আয়াতের অংশ হিসেবে আছে।  


 

৩৫। সূরা নামলের সিজদার আয়াতটি (আয়াত নং-২৬) একটি ‘কাঠ ঠোকরা’ পাখির উক্তির পরিপ্রেক্ষিতে। পাখিটিকে আরবীতে কোরানে ‘হুদহুদ’ বলা হয়েছে।

 

 

 

৩৬। মোট সিজদার আয়াত ১৫ টি। তন্মধ্যে একটিতে মতান্তর রয়েছে। ১৯ পারায় এবং ৩০ নং পারায় দু’টি সিজদার আয়াত আছে। সূরা হাজ্জ এর ভেতর মতান্তরের সিজদার আয়াতটি সহ দুটি সিজদার আয়াত আছে।

 

 

 

৩৭। কোরানের ভেতর আটটি আয়াতে ‘সাকতাহ’ করতে হয়। এখানে শ্বাস ছাড়া ব্যতিরেকে পড়ার শব্দ কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ রাখতে হয়।

 

 

 

৩৮। কোরানের চারটি আয়াতে এমন শব্দ রয়েছে যেটা আরবী হরফ “স্বদ” অথবা “সীন” যে কোন একটি দিয়েই পড়া যায়। শব্দগুলোতে স্বদ এর উপরে ছোট করে সীন হরফ দেয় থাকে।

 

 

 

৩৯। কোরানের একটি আয়াতে ‘এমালাহ’ করতে হয়। কোরানে একটি মাত্র শব্দে ‘যের’ এর উচ্চারণ ‘ই’ না হয়ে ‘এ’ এর মত করতে হয়। শব্দটি হল, “মাজরে-হা”। সূরা হুদ আয়াত ৪১। উল্লেখ থাকে যে, দোয়াটি ভাসমান যানবাহনে (জলপথ বা আকাশপথ) যাত্রাকালের পঠিতব্য দোয়া বা প্রার্থণা বিশেষ যা নবী হযরত নূহ (আঃ) করেছিলেন।

 

 

 

৪০। কোরানের সূরা ক্রমের প্রথম থেকে ৫৭ নং এবং শেষ থেকে ৫৮ নং সূরাটি হল সূরা হাদীদ। আরবীতে ‘হাদীদ’ মানে হল লোহা (Iron)। সূরাটিতে বিসমিল্লাহ সহ মোট আয়াত ৩০ টি। সূরাটিতে ‘আল্লাহ’ শব্দটি আছে ২৬ বার। মজার কথা হত, লোহার আণবিক সংখ্যা ২৬, নিউট্রনের সংখ্যা সাধারণ ভাবে ৩০ এবং লোহার দুটি স্থায়ী Isotope এর ভর হল ৫৭ এবং ৫৮।

 

 

 

৪১। সবচেয়ে বেশী সূরা আছে ৩০ নং পারায় আর ২ এবং ৫ নং পারার ভেতরে নতুন করে কোন সূরার শুরু হয়নি। এই দুইটি পারা সম্পূর্ণ ভাবে যথাক্রমে সূরা বাকারাহ এবং সূরা নিসা এর অভ্যন্তরে অবস্থিত।

 

 

 

৪২। মহানবী মুহাম্মদ (সাঃ) যে আয়াতের অন্তর্গত অর্থের কারণে সবচেয়ে বেশী ভীত হয়ে পড়তেন এবং যার কারণে তার মধ্যে অকাল বার্ধক্য চলে এসেছে বলে উল্লেখ করেন, সেই আয়াতটি আছে সূরা হুদে আয়াত নং ১১২

 

 

 

৪৩। নবীজী মুহাম্মদ (সাঃ) সাথে উনার স্ত্রী জয়নাব বিন্তে জাহাশ (রাঃ) শুভ পরিণয়ের ঘোষণা সৃষ্টিকর্তা স্বয়ং কোরানে ঘোষণা দেন “ঝাউওয়াজনা-কাহা-” শব্দের মাধ্যমে। এখানে আল্লাহ রাজকীয় বহুবচনে শব্দটি উল্লেখ করেন যার অর্থ হল “আমিই তাকে আপনার বিবাহে সোপর্দ করলাম”। সূরা আহঝাব আয়াত ৩৭ এ এই ঘোষণা আসে।

 

 

 

৪৪। কোরান ব্যতিরেকে কোরানের সমপরিমাণ অন্য কোন গ্রন্থ মানুষের পক্ষে হুবহু অবিকৃত ভাবে মুখস্ত করে রাখা সম্ভব হয়নি। এটিও কোরাণের একটি বিশেষ ধরণের গাঠনিক এবং অপূর্ব ছান্দিক সুষমার ধারক। অগনিত হাফিজে কোরান আছেন যাদের সমগ্র কোরান অবিকৃত ভাবে মুখস্ত।

 

 

 

৪৫। কোরানের প্রথম হাফিজ বা মুখস্ত করে সংরক্ষণকারী স্বয়ং শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)। উনার সান্নিধ্যে থাকা বহু সাহাবীও কোরানে হাফিজ ছিলেন এবং তারা শুধু শুনে শুনেই হুবহু মুখস্ত করে ফেলতেন।


৪৬। সবচেয়ে দীর্ঘ পরিসরে, বিস্তারিত এবং একাধারে আলোচিত হয়ে নবী হযরত ইউসুফ (আঃ) এর ঘটনা যা সুরা ইউসুফের শুরু থেকে প্রায় শেষ পর্যন্ত বর্ণিত। কোরানে এই ঘটনাকে সর্বোত্তম উপাখ্যান বলা হয়েছে।

 

৪৭। নবীর নাম ঘোষিত না হয়েও হযতর শিম্বীল (আঃ) এর উক্তি সরাসরি কোরানে বর্ণিত হয়েছে সূরা বাকারা’র ২৪৭ নং আয়াতে।

 

৪৮। একাধারে সবচেয়ে বেশী শপথের কথা উচ্চারিত হয়েছে সূরা শামসে। পরপর ৯টি বিভিন্ন জিনিসের শপথ বর্ণিত হয়েছে।

 

৪৯। দোয়া ইউনুস হিসেবে খ্যাত দুয়াটি সূরা ইউনুসে নয় বরং সূরা আম্বিয়ার আয়াত-৮৭ তে বর্ণিত হয়েছে।

 

৫০। সবচেয়ে বেশী আশা সঞ্চারকারী আয়াত, সূরা ঝুমার আয়াত-৫৩

 

৫১। সবচেয়ে ভীতি প্রদর্শিত হয়েছে, সূরা নিসা আয়াত-১২৩ এ

 

৫২। নবীদের কে পথপ্রদর্শনের জন্য নির্দেশনা দেয়া হত ৪০ বছর বয়স থেকে কিন্তু  হযরত ঈসা (আঃ) ব্যতিক্রম। উনি মাতৃক্রোড়ে থাকা অবস্থায় নিজের নবী হওয়া, ঐশীগ্রন্থ লাভের ঘোষণা দেন। সূরা মারিয়াম আয়াত-৩০

 

৫৩। হযরত নূহ (আঃ) ৯৫০ বছর মানব জাতিকে পথ প্রদর্শন করেন। সূরা আনকাবুত আয়াত-১৪

 

৫৪। ওহুদের যুদ্ধে ঝান্ডাবাহী সাহাবী হযরত মুস’আব বিন উমাইর শহীদ হন। মৃত্যুর ঠিক আগ মূহুর্তে উনি কবিতার বয়াতের মত করে বলতে থাকেন, “ওয়ামা মুহাম্মাদুন ইল্লা রসূল, ক্বদ খলাত মিং কবলিহির রূসুল”। উনার মৃত্যুর পরে এই বানীই কোরানের আয়াত হিসেবে নবীজীর উপরে অবতীর্ণ হয়। সূরা আলি ঈমরান আয়াত ১৪৪

 

 

৫৫। ওহুদের যুদ্ধে শহীদ হওয়া সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ বিন আমর বিন হারাম (রাঃ) এর সুপারিশে মহান সৃষ্টিকর্তা সূরা আলি ঈমরান এর আয়াত-১৫৯ অবতীর্ণ হয় এবং সেটিতে উল্লেখ আছে, শহীদরাও জীবিতদের মত সৃষ্টিকর্তার নিকট থেকে রিজিক প্রাপ্ত হয়। 


৫৬। সূরা ফাতিহা এবং সূরা ইখলাস’র মধ্যে কোন ‘গুন্নাহ’ বা নাসিক্য ধ্বনি নেই।

 

৫৭। সূরা মুহাম্মদের দুটি আয়াতের শেষাক্ষর শুধু ‘আলিফ’ এছাড়া বাকী সবগুলো আয়াতের শেষাক্ষর ‘মিম’।

 

৫৮। সূরা হিজরের শুধুমাত্র প্রথম আয়াতটি ১৩ পারার অন্তর্গত শেষ আয়াত। দ্বিতীয় আয়াত থেকে ১৪ নং পারা শুরু হয়ে যায়।

 

৫৯। ফেরেশ্তা (Angel) রা বহু ডানার অধিকারী। সূরা ফাতির আয়াত-১

 

৬০। জ্বীন সম্প্রদায়ের ইসলাম গ্রহন এবং নিজেদের এলাকায় ধর্মপ্রচারের ঘটনা নবীজীর অগোচরে ঘটে। উনি পরবর্তীতে এই ঘটনা জানতে পারেন যখন তার কাছে ৩০০ জন জ্বীনের এক বাহিনি আগমন করে। সূরা আহক্বফ আয়াত- ২৯-৩১

 

৬১। নবী হযরত নূহ (আঃ) এর জামানার মহাপ্লাবনের পরবর্তীতে শুধুমাত্র উনার বংশধর রাই জীবিত ছিল। জাহাজে সমাগত অন্যান্যদের থেকে পরবর্তিতে কোন বংশধারা পৃথিবীতে আসেনি। সেই সূত্রে বর্তমান পৃথিবীর সমস্ত মানুষ হযরত নূহ (আঃ) এর বংশধর। সূরা সাফফাত আয়াত-৭৫-৭৭

 

৬২। নবী হযতর ইউসুফ (আঃ) অপূর্ব সৌন্দর্যে বিমোহিত হয়ে একদল সম্ভ্রান্ত নারী ফল কাটতে গিয়ে নিজেদের হাত কেটে ফেলেন কারণ তারা ইউসুফ (আঃ) কে মানুষ নয় বরং ফেরেশ্তা ভেবেছিল। সূরা ইউসুফ আয়াত-৩১

 

৬৩। কোরানের দীর্ঘতম শব্দ “ফাআসক্বইনাকুমু-হ”। আরবীতে ১১ টি অক্ষর আছে। সূরা হিজর আয়াত ২২

 

৬৪। রাসূলের বাণীকে হাদিস বলা হয়। হিজরতের সময় সাথী হযরত আবু বকর (রাঃ) রে সান্ত্বনা দিয়ে গুহায় অবস্থান কালে নবীজী যে উক্তি করেছিলেন সেটা হুবহু কোরানে ইদ্ধৃত আছে। “লা তাহঝান ইন্নাল্লহা মাআনা” অর্থাৎ বিষণ্ন হয়ো না, আল্লাহ আমাদের সাথে আছেন। সুরা তওবা আয়াত-৪০

 

৬৫। সর্বাধিক মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত ‘আয়াতুল কুরসী’ সূরা বাকারা আয়াত-২৫৫


View shawon1982's Full Portfolio