বিশ

রুদ্ধশ্বাস প্রার্থনাগুলো প্রতিধ্বনিত হয়েছিল

মধ্যরাতের চাদরে, চার চৌহদ্দির অন্তরালে

মরচে পড়া জানালাটার সকরুণ চাক্ষুষ সমর্থন

ব্যবধান ছিল শুধু জীবাশ্ম আর শবের আড়ালে

এর মাঝে আমি তো এক প্রাগৈতিহাসিক নগরের সাক্ষী

ঐকান্তিক মনোবলে অবলোকন করেছিলাম

মুক্ত বিহঙ্গের অগোচরে খসে পড়া পালকের পতন।

মাটির উপরের চকচকে শিশির মাখা শিউলি ফুলগুলো

অর্ঘ্য হবার মিথ্যে প্রলোভনে সাজিয়ে রেখেছিল নিজেদের

কেউ আসেনি নিতে-

ক্ষুধার্ত গণিকার অবসন্ন চোখের মত শুকিয়ে গিয়েছিল

তা দেখে অট্টহাসি হেসেছিল একদল নেত্রহীন শকুন শাবব

হা করে ওত পেতে ছিল, কাঁচা রক্ত মাংসের প্রতীক্ষায়

বিনা প্রতিবাদের শহরের ছিল না কোন ভাবান্তর

রুদ্ধশ্বাস প্রার্থনায় একে একে মরে বেঁচেছিল নিভৃতচারী অন্তর।

 

আমি ছিলাম এক মোক্ষম সুযোগের অপেক্ষায়

এবার পূর্ণ হবে আমার আরাধনার ক্রান্তিলগ্ন

মোক্ষপ্রাপ্তির একেবারে চূড়ান্ত ক্ষণ যখন সমাগত

তখন ইশ্বর চেয়েছিলেন শেষ এক অন্তিম জীবন্ত আহুতি

এরপরেই পূর্ণ হবে আমার সাধনা এই শবের নগরে

বিহ্বল আমি ছুটে গেছি প্রান্তর থেকে প্রান্তরে

অতীতে গিয়ে খুঁজেছি,

শৈশবের কাছে মাথা ঠুকেছি

কৈশোরের কাছে নিগৃহীত হয়েছি

যৌবনের কোন মানদণ্ড তুল্যায়িত হয়নি কোথাও

ইশ্বরের দাগাঙ্কিত অনসূয়া কোন ভূমিতে-

প্রান্তর থেকে প্রান্তরে, পাহাড়ে, পর্বতে, সাগরে, শবাধারে

তবে কোথায় পাব আমি মোক্ষলাভের জীবন্ত আহুতি?   

Author's Notes/Comments: 

৮ মে ২০২০

View shawon1982's Full Portfolio