অর্ধেক পানি খেয়ে সজোরে মেঝেতে আছড়ে ফেললাম
পানি খাওয়ার গ্লাসটা
বীভৎস জিঘাংসা নিয়ে দেখলাম ছিটকে পড়া টুকরোগুলো
এরপর নির্বিকার ভাবে বারান্দায় দাঁড়িয়ে শুনলাম
ফেরিওয়ালা ডাকছে সাথে কতগুলো জীবন্ত মুরগি
প্রাণ সংহার করা হবে সেই অপেক্ষায়!
আমি হাতের ইশারায় ডাকলাম, কিনে নিলাম গোটা কয়েক।
ভুরিভোজের পর, তাকালাম মেঝেতে
তখনো কাচের টুকরো গুলো পড়ে, অবিন্যস্ত এলোমেলো
প্রত্যাখ্যাত এক হৃদয়ের মত নিঃশব্দে নৈপুন্যতায় চৌচির
আমার ভ্রুক্ষেপ নেই!
আমি ভেবেছি কাঁচে আমার পা কাটবে না, ওসব কুসংস্কার
আমি তো মানুষের বেঁচে থাকার আদিমতার উর্ধ্বে
অমিমাংসিত কলুষতাগুলো একে একে গ্রাস করছে
পাকস্থলী থেকে কবিতার ছত্রে ছত্রে
অকৃত্রিম এক পাশবিকতায় কাঁচে টুকরো গুলো
হাত দিয়ে ঘষতে লাগলাম মেঝেতে
নেই! কোন ব্যথার অনুভুতি নেই...
স্নায়ুর নপুংশকতার আমি স্থবির
অথচ রক্তের ছোপগুলো তখনো শুকোয়নি