মাঝে মাঝে মন বিদ্রোহ করে বসে। মনে হয় ঘর থেকে ছুটে বের হয়ে যাই। যখন সবকিছু ঠিক ছিল, তখন বারবার মনে হত, কখন ছুটি পাব। আর এখন? এটাকে তো ছুটী বলা যায় না। ঘরে বন্দী। মন কত কিছু করতে চায় কিন্তু করতে পারি না। ইন্টারনেট এখন নিত্য সঙ্গী। মানুষের নানা রকম পোস্ট আর সেগুলোর সাতকাহন দেখে দেখে সময় কাটাই। আবার একটু বই বিয়ে বসি। এখন চলছে সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের বিখ্যাত উপন্যাস “লোটাকম্বল”। শুরুর দিকে এই উপন্যাসের ভেতরে ঢুকতে একটু কষ্ট হয়েছে। এখন চলছে। প্রথম খন্ড প্রায় শেষ পর্যায়ে। সম্পূর্ণ বইয়ের কেবল অর্ধেক মাত্র শেষ হয়েছে।
আমি করোনার ভয়ে মোটেই কাতর নই। কয়দিন আগেই ভাল মাত্রার জ্বর আর চোয়াল ব্যথা থেকে উঠলাম। টানা ওষুধ খেয়ে যেতে হচ্ছে এখনও। এখন ভাল আছি। কিন্তু আসে পাশের মানুষগুলো যখন সীমাছাড়া দুশ্চিন্তা করতে বসে তখন আমার আর ভাল লাগে না। কারণ আমি আমার ডক্টরেট ডিগ্রি চলাকালীন এমন একটা সময় অতিক্রম করেছি দুশ্চিন্তার, যে এখন আর কোন কিছু আমার গায়ে লাগে না। যা খুশি হোক, আমি আর কোন কিছু নিয়ে চিন্তা করি না। সেই ২০১৩ এর পর থেকে আর কোন কিছু নিয়ে আমি অতিরিক্ত চিন্তা করতে পারি না। করতে ভাল লাগে না। এত চিন্তা করে মানুষ কোন কালেও কিছু করতে পারেনি। আমি দুশ্চিন্তার কথাই বলছি। কোন লাভ হয় না আগ বাড়িয়ে দুশ্চিন্তা করে। যা করণীয় সেটা করে যাচ্ছি। অযথা আমি আমার ব্যাপারেও যেমন চিন্তা করি না, তেমন অন্য কেউ আমার আসে পাশে দুশ্চিন্তা করলেও সেটা আমার খুব একটা আমলে নিতে ইচ্ছা করে না। আমি বরাবরই অদূরদর্শী আর অনেক অনেক বেশী অগভীর জলের মাছ। আমার মনও মানুষ পড়ে ফেলে খুব সহজেই। আমি ধরা পড়ে যাই। আমি বার বার ধরা পড়তে থাকি মানুষের সূক্ষ্মদর্শীতা আর কূটনৈতিক চালের কাছে। কি লিখতে গিয়ে কি লিখলাম। আমার মনে হয় আসলে মাথা ঠিক নেই। চিন্তা ভাবনা এলোমেলো।