১৭ মার্চ ২০২০

দৃশ্যমান শত্রু থেকে বেঁচে থাকা সহজ, কিন্তু যে শত্রুর দেখা পাওয়া যায় না, তাদের থেকে কিভাবে বাচবে মানুষ? যে ভাইরাসের আতঙ্কে সারা পৃথিবীর মানুষ অস্থির হয়ে আছে, সারা দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, এমতাবস্থায় যদি মানুষ এখনও বুঝতে না পারে যে অবস্থা কতটা সঙ্গীন, তাহলে এর পরিণতি কি হতে পারে যদি সেই রোগ প্রাদুর্ভাব করে? আমাদের এই দরিদ্র দেশের ত সামান্যতম প্রস্তুতিও নেই। কিভাবে বাঁচবে এই দেশের মানুষ? এই দেশের বেশীরভাগ মানুষ এখনও জানেই না আদৌ কোন রোগ, বা ভাইরাস বলেকিছু আছে! অনেক শিক্ষিত লোকের কাছেই কি এর কোন গুরুত্ব আছে? স্কুল, কলেজ, ভার্সিটি যে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে যেন এই ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধ করা সহজ হয়, কিন্তু তার প্রতিক্রিয়া কি? আদৌ আমাদের মধ্যে কি সেই সহনশীলতা আছে?

 

গতকাল থেকেই তো নিউজপোর্টাল গুলাতে দেখতে পেলাম, মানুষ এটাকে দারুণ এক লম্বা ছুটি মনে করে নিয়েছে। অনেক, অনেক মানুষ এই সুযোগে ঘুরতে বের হচ্ছে। কেউ কেউ সমুদ্র বিলাসেও চলে গেছেন। ঈদের ছুটির মতই, সমুদ্রসৈকতে নাকি এখন লোকে লোকারণ্য। এভাবে, এই মানসিকতার ভেতর যদি আমরা চলতে থাকি তাহলে আমরা কি আমাদের নিজেদের সমূহ বিপদ নিজেরাই ডেকে আনছি না? এর মধ্যে আবার দেখলাম কোয়ারেন্টাইনে থাকা একজন বিয়ে শাদীও করে ফেলেছে। কিন্তু প্রশাসন তার বৌভাত বন্ধ করে দিয়েছে।

 

সবার একটা কথা মাথায় রাখা উচিত, জীবন অনেক অনেক দামী। আমাদের বেঁচে থাকার দরকার শুধু আমার নিজের জন্য না। আমার সাথে আমার পরিবার ও জড়িয়ে আছে। হ্যা এটা সত্য আমরা মারা যাবই কোন না কোন সময়ে, কিন্তু এর মানে তো এই না যে সেধে সেধে মৃত্যুকে ডেকে আনতে আনতে হবে নিছক আমাদের খামখেয়ালীপনার জন্য। আমার খামখেয়ালীতার জন্য যদি শত হাজার মানুষের মধ্যে এই প্রাণঘাতী ভাইরাস ছটিয়ে পরে তাহলে এর দায়ভার কে নেবে? কে?   

View shawon1982's Full Portfolio