পাঁচ//
আমি ক্রমান্বয়ে বেড়ে উঠছি; জানালার এপাশ ওপাশ
দু’পাশের অসম টানাপোড়েনের মাঝেই।
সাথে বালিশের লেগে থাকা কিছু অর্থহীন ফিসিফিসানি
টেবিলের ড্রয়ারে সযত্নে রাখা ভাঙ্গা ছবির ফ্রেম-
টিনের চালের উপর বেপরোয়া বিড়ালের দৌড়ের শব্দ
শ্বাপদের নখের মত চিরে রক্ত বের করে পাঁজর থেকে
এতটাই নিঃশব্দে যে, কোন অভিযোগ করার থাকে না।
দু’দন্ড স্বস্তির আশায় জানালার কপাট খুলি
উৎকট দুর্গন্ধে ঘর ভরে যায়-
স্মৃতি পচে গলে রয়েছে জানালার ওপাশে
অদৃশ্যের আভরণ গায়ে জড়িয়ে আছে পরাবাস্তব শরীরে।
জানালা বন্ধ করে দেই শ্বাসরুদ্ধকর ঐ ঘরের
মেঝেতে ইঁদুরের দৌড়ঝাঁপ,
দেয়ালে আরশোলার ডানার ফড়ফড়ানি
আমাকে ক্রমশ বর্তমান থেকে নিয়ে যায় আদিম যুগে
যেখানে ভাললাগা চাপা পড়ে থাকে আদিম উল্লাসের নীচে
মানুষ হারাতে থাকে স্মৃতির মৃত্যুপুরীর অভ্যন্তরে-
আমি সেখানেও তোমাকে খুজতে থাকি
হাতড়াতে থাকি একের পর এক মড়ার খুলি
এমনকি নিজেকেও আমি খুঁজে পাই সেখানে; ভ্রুক্ষেপ করি না
যার দিকে তুমি ফিরে তাকাওনি; তার কি মূল্য আমার কাছে?
কাজেই আমিও অঙ্কহীন, সঙ্খ্যাহীন কতগুলো শূন্যের বিন্যাস সমাবেশ