শেষ পর্যন্ত

শেষ পর্যন্ত আমি হার মেনেছি

আলতো চাহনি দিয়ে আকাশপানে তাকানো

মায়া মেশানো ঐ চোখের কাছে।

আমি সেখানে দেখেছি আমার বিভ্রম বাসনার অস্তগামী সূর্য্যটাকে।

যে চোখের কাছে আকাশের নীল, সমূদ্র হয়ে গেছে-

হারিয়ে গেছে সকল কম্পাসের উত্তর দক্ষিণ।

 

শেষ পর্যন্ত আমি থেমে গেছি

দৌড়ে আসা এক রুগ্ন শিশুর কাছে

যার অন্তর্ভেদী দৃষ্টি আমাকে তাড়িয়ে বেড়ায়

দূরের কোন শ্বাসবন্ধ প্রাচীরের দোরগোড়ায়।

যেখানে লেখা ছিল- ‘তুই বিবেক শূন্য!’

শিশুটি কিছু না বলেই চলে গেল-

আমি হেরে গেলাম ওর রেখে যাওয়া পদচিহ্নের ম্রিয়মান প্রান্তে।

 

শেষ পর্যন্ত আমি পিছিয়ে গিয়েছি

এক রাস্তার পাশে বসে থাকা পাগলীর কাছে

যার কোলে সদ্য ভূমিষ্ট এক দেবশিশু!

পাগলী জানে না পাপের প্রায়শ্চিত্ত কিসে হয়-

অথচ আমি মানুষকে তিরস্কার করেছি কত!

পাগলীর জ্বলন্ত চোখের সামনে আমি আবার জন্ম নিয়েছি

এক নতুন রূপে, পাপ পূন্যের বিভেদ আড়াল করে।

 

শেষ পর্যন্ত আমি পৌঁছে গেছি

এক অস্বাভাবিক জীবনে জিজ্ঞাসার অন্তরালে

যেখানে নিয়ত পদদলিত করে আমাকে

রুগ্ন শিশু, পাগলী, আর উদাস চোখের সেই মেয়েটি।

ঢেউ এর পর ঢেউ এসে আমাকে স্নাত করতে থাকে

আমি শুদ্ধতা থেকে স্তরে স্তরে নিজেকে বিন্যস্ত করতে থাকি

এক অশুদ্ধ সাবলীল পরিপূরক নির্বাসনে।  

Author's Notes/Comments: 

10th june 2018

View shawon1982's Full Portfolio