কেমন আছেন আপনারা সবাই
কেমন কাটছে দিন?
এখন তো আমি নাই
কে মারছে পিন?
আপনাদের সবাইকে আমি
ভীষণ মিস করি-
নিজের মত করে তাই
আপনাদের স্মরি।
এতটা দীর্ঘ পথ যেন
কিভাবে হল পার-
জানি সেই সময়গুলো
কভু পাবনা আর!
সালাহ উদ্দীন স্যার ঝাড়ি দিয়ে
বলতো, এই ডেভিড!
সেই শব্দে পুরো বাড়ির
কেঁপে যেত ভিত!
ডেভিড ভাই মুচকি হেসে
করতো আনাগোনা-
কাকে কোন ডিউটি দেবেন
চলতো গবেষণা।
শামীম স্যার ল্যাপটপ নিয়ে
কত কি যে করেন-
এর ওর কথা শুনে
মুচকি মুচকি হাসেন!
দারুণ সচেতন আদনান স্যার
জুড়ি মেলা ভার-
উনাকে রাগিয়ে দিতে পারে
সাধ্য আছে কার?
চুপি চুপি গান শোনেন
আমাদের কাওসার স্যার-
বার্থডে লুকাতে গিয়েও
পেলেন না উনি পার!
অমিতাভ স্যার ব্যস্ত থাকেন
ল আর সাহিত্য নিয়ে-
সব সহ্য করে যান
কোন অভিযোগ না দিয়ে।
যখন জানলাম তাহরিমা আপা
গাইতে পারেন গীত-
ওখান থেকে তখন আমি
হয়ে গেলাম অতীত।
রোখসানা আপার যত কথা
কি আমার আমি বলবো-
নিজ হাতে যাই বানান
চোখ ভরে তাই দেখবো।
জেসমিন আপার অবদান
ভুলবোনা কোনদিন
উনি ছাড়া খাওয়া দাওয়া
সম্ভব না এক দিন!
শফিক স্যার আতঙ্কে থাকেন
এই এলো সাবস্টিটিউট-
হান্ড্রেড পার্সেন্ট উপস্থিত থেকে
হন না ডেস্টিটিউট!
ত্রৈদেশিক নাগরিকত্বে
আছেক গ্যাঁড়াকলে-
বিয়ের কথা উঠলেই বলেন
সবুরে মেওয়া ফলে!
চায়ে চুমুক হাতে ফেসবুক
তিনি নরিন আপা-
শান্ত মেজাজের মানুষ উনি
রেগে হননা ক্ষ্যাপা!
চুপি চুপি ইসমাত আপা
কপি করেন চেক-
পোলাপান তাদের পরীক্ষা
যখন খুশি দেক।
পার্ট টাইম তুলান স্যার
তিনদিন ছুটি পান-
এই নিয়ে আনন্দে তিনি
অন্যদেরকে ক্ষেপান।
কারো সাতে পাচে নেই যিনি
তিনি আয়শা আপা-
ছেলেপুলের কান্ড দেখে
যার পর নাই ক্ষ্যাপা!
তানজিল স্যার হাসি দিয়ে
করেন বাজিমাত-
খেলার মাঠে প্রতিপক্ষ
সহজেই কুপোকাত।
সোমা আপা ছবি দিয়ে
আমাকে দেন লোভ-
খিদা পেটে তাই দেখে
আমার দারুণ ক্ষোভ!
সদাহাস্য মাহফুয স্যার
নিরিবিলি থাকেন-
সারা বিশ্ব হাতের মুঠোয়
নিয়ে উনি ঘোরেন।
ইংলিশ বললেও তাসনিম মিস
বাংলা কিন্তু বোঝেন-
আমাদের যে কোন আলোচনায়
খুব সহজেই মেশেন।
নূর স্যার, প্বার্থ স্যার
অঙ্ক নিয়ে আছেন-
গম্ভীর নয় মোটেও তারা
কি সুন্দর হাসেন।
সবার কথা হয়তো আমি
পারলাম না এখানে বলতে-
আপনারা সবাই মিশে আছেন
আমার স্মৃতির পরতে।
আপনারা সবাই জাগ্রত আছেন
স্মৃতির মণিকোঠায়-
আশা করি আপনার হয়ত
ভুলে যাবেন না আমায়।