কেমন যেন এক শূন্যতা গ্রাস করে নিল
আপাদমস্তকে আশৈশব চেনা জড়বাস্তব অস্তিত্ত্বটাকে
ধুলোর রাস্তায় পথ চলতে চলতে-
বুঝতে পারি উড়ে চলে গেছে সুখের প্রজাপতিটা।
রাস্তার এলোমেলো লেখাগুলো, সাইনবোর্ড, দোকানপাট
ভ্রুকুটি করে আমাকে বিদায় জানায়-
একরাশ শুন্যতায় এপাশ অপাশ দেখি
চোখের জল শুষে নেয় শহুরে বর্ণাঢ্য কুয়াশা
সেই ভালো; লজ্জা পেতে হল না।
গাছগুলো হারিয়ে গেছে নিকষ অন্ধকারে
ঠিক যেন চেনা মুখগুলো!
বেমক্কা ধাক্কা দিয়ে একটু পথ এগিয়ে দেয়
ঠান্ডা বাতাসের সূচাগ্র স্পর্শ।
কিছু বলতে চেয়েছিলাম শেষ বেলায়-
ঠোঁট জড়িয়ে গেল, কথা বলা হল না
শুকিয়ে কালচে হওয়া রক্তের মত পীচের রাস্তা
দু’পাশের শিশির ভেজা ঘাসে পড়ে আছে মৃত প্রজাপতি
আমি পথ ধরে এগিয়ে যাই সর্পিল বিষণ্ণতার আঁধারে
শুধু আমার অনগ্রসর সাহসটুকু পুঁজি করে।