আমি নিশ্চিত ছিলাম
আমার কিছুই পাবার ছিল না
শামুকের খোলসের ন্যায় পথগুলো ছাড়া
অথবা রুগ্ন পাতার উপর দাগগুলো ছাড়া।
এদ্দের সাথেই আমি আমার মিল খুঁজে পাই
অতন্দ্র বিভীষিকাময় আলোর উন্মুক্ত ধাঁধায়।
একজন প্রশ্নকর্তা ধূর্ত হাসি দিয়ে
আমার একাকীত্ব দেখতে থাকে ঠান্ডা চোখে
তার লোলুপ দৃষ্টির সামনে
চুপসে যেতে থাকে আমার অসহায়ত্ব।
একরাশ নৈর্ব্যক্তিক যন্ত্রণা নীল হয়ে আছে
বারংবার শূন্য দৃষ্টি মেলে প্রার্থনা করে
কারো সাড়া পাওয়া যায় না
শুধু আঁধারের নিশানাটাই নড়ে ওঠে
ব্যস ঐটুকুই-
দৃষ্টি আবদ্ধ হয় স্বমহিমায়
মন প্রতিবাদী হলেও জানে এর প্রতিকার নেই
নীল যন্ত্রণার কোন প্রতিকার ছিলই না
বিছানা পড়ে থাকে অপেক্ষায় আগের মতই
তৃষ্ণার্ত কন্ঠে কেউ আহ্বান জানায় না
কেউ তার আলিঙ্গনে আমার দম বন্ধ করে না
শুধু ‘না’ গুলো আর কখনোই ‘হা’ হল না
নীল যন্ত্রণা গ্রাস করে একটু একটু করে
সুপ্ত মিথ্যের আঁকরে বন্দী
আমার নির্বাচিত সুখগুলোকে।