সকরুণ আর্তি নিয়ে অনুরোধ করেছি
তুমি শুনলে না,
অনেকটা ইচ্ছে করেই এড়িয়ে গেলে
প্রচন্ড শব্দে দুই শুষ্ক কাষ্ঠখন্ড মিলিত হল
অঙ্গাঅঙ্গিভাবে, পরস্পর অবিচ্ছেদ্য বন্ধনে
আমি ফিরে যাই সঙ্গমরত ঐ কাষ্ঠযুগল দেখে
নগ্ন অভিক্ষেপ ঝরতে থাকে স্বেদবিন্দু হয়ে
যান্ত্রিকতার প্রাদুর্ভাব আপাদমস্তক গিলে খায়
চাপা পড়ে যায় কপোলের লবণাক্ত আল্পনা
ডাকতে থাকে আমায় কে যেন...
ফিরে আয়... ফিরে আয়...
ক্ষণিকের মতিবিভ্রমে ফিরে আসি
বিকলাঙ্গ পড়ন্ত দুপুর তীক্ষ্ণবাণ ছুড়ে দেয়
দু’চোখের তারায় নপুংসক অঝোর ধারার ঢল
পর্দা সরিয়ে দেখায় এক নতুন যুগল
প্রেমানলে দাহিত করছে একে অন্যকে
শূন্যতার মাঝে শুনতে থাকি তার ক্রমাগত চুম্বনের শব্দ
মেঝেতে পড়ে থাকে বিধ্বস্ত নীলিমার ফসিল
এবার কে যেন গোঙানির সুরে বলতে থাকে
তুই এসেছিস! ঋণ শুধবি কার?
এখানে চলছে মিলন মেলা-
চির বৈরি যুগলের ক্রমাগত উন্মত্ত অভিসার।
এখনও রয়েছে বেলা
ফিরে যা... ফিরে যা...