সর্বভুক ব্যাধি গ্রাস করেছে সাফল্যের সাথে
সুদক্ষ নিপুনতায় চূড়ান্তভাবে বিভোর সত্ত্বাকে
কখনও আকাশচুম্বী পাহাড়ের দীন দৃঢ়তায়
কখনও কাপড় নিংড়ানো পানির ফোঁটা ফোঁটা শূন্যতায়...
উদাত্ত নগ্নতার অবকাশে জানাই সাদর সম্ভাষণ!
প্রকৃতি কি উদার চিত্তে উজাড় করে দিয়েছে সবটুকু সতীত্ব
হায়নারা এসে সতীচ্ছদের দিকে আগ্রাসী থাবা বাড়ায়-
ভেবেছিল বিদীর্ণ করে দেবে জন্ম-প্রহরের বিলুপ্ত ইতিহাস
পারে নি! উল্টো ঢেকে গেছে নগ্নতার প্রচ্ছদে।
কতটুকু আকাশ পেলে অসীমের হাহাকার শুনতে পাবো?
কতটুকু আপন হলে তোমার নগ্নতায় আবিস্কার করবো
অলীক দুঃস্বপ্নের রাংতায় মোড়া অভিমানে ন্যুব্জ স্বীয় অহংবোধ কে!
তোমার মুকুরে আজ প্রতিফলিত হয় পরস্পর স্ববিরোধী বৈপরীত্য
বুঝতে কি পেরেছিলে?
নাকি হারিয়ে গেছে চিরতরে ধূলোর ঘূর্নিঝড়ে
‘দু’ফোটা পানি ঝরবে’ এই নগ্ন আশ্বাসের মরুতে?
ঋণাত্মক পরিধিতে দাগাঙ্কিত করে রেখেছি
পঞ্চমীর চাঁদের নিস্তেজ পরিশুদ্ধ একটু আলোকিত সন্ধ্যাকে...
যদি কখনও আচম্বিতে পুলকিত হও
তবে চলে এসো নুপুরধ্বনিতে ঝঙ্কার তুলে
হিসেবের খাতায় লিখে দেবো নীলপদ্মের ভ্রমের অবগাহন!
কোন অর্থ জানতে চেও না...
সবটুকু দৈবিক নগ্নতার অর্ঘ্যে অঞ্জলি দেব তোমার মগ্ন আচ্ছাদনে।