নৈসর্গিক ধাঁধা

ধানের খেতের উপর বয়ে চলা রেশমী বাতাসের দোলা-

শ্রাবনের মেঘের সাথে পাল্লা দিয়ে প্রিয়ার চুলগুলো খোলা-

কখনও বা  মধ্যদুপুরে কৃষকের নগ্ন বাহুর ঝরা ঘামে-

কখনও বা অচিন্ত্য দর্শনে তুমি প্রকট হও ধরাধামে!

 

শিশুর গালের কোমল ত্বকে জ্যোতস্না-অরণ্যের হাসি

মাটির ফুলে ভ্রমর দোলে- যেন অবিকল স্নেহ রাশি!

ধুলার স্লেটে লিখে রেখেছো অতুল রহস্যের আধার-

তোমার পদচুম্বনে শোভিত হয় আঁধার যেন সবার।

 

ঐশ্বরিক স্বর্গে রচেছিলে তুমি মাটিতে ধূসর ধরা-

তব আশীর্বাদে ঘুচে গিয়েছিল উষ্ণতম অন্তঃক্ষরা।

যুগল কাননে প্রেমে মজেছিল- তোমার বাহুর স্পর্শে

তব জয়ধ্বনি বাজিছে উঠে আকুল দিগ্বিজয়ী হরষে।

 

অঙ্গে রন্ধ্রে, রক্ত গন্ধে সর্বত্রই কোলাহল ফোয়ারা

বিনিদ্র ছায়াপথ তোমার পথ জেগে জেগে দেয় পাহারা।

ঐশ্বরিক সৌকর্যে তুমি করেছো স্বাক্ষর প্রতিপল অনুপলে-

সবার মাঝেই প্রকাশ থেকে, বল! তুমি গোপন কিভাবে হলে?

Author's Notes/Comments: 

5 february 2017

View shawon1982's Full Portfolio