ভালবাসি বলে কি অনধিকার চর্চা করেছি?
বুঝতেই তো চেয়েছিলাম তোমাকে
একদম নিজের মত করে।
বহু পুরনো তাক থেকে ডাইরীটা নামিয়ে
ধুলো ঝেড়ে ভুলটা ভাংলো-
ওটা আমার না; তোমার ছিল।
তোমার ফেতর দিলাম, নিলে না
কেন নিলে না, তাও বললে না...
এতদিনের পোষা পাখিটা মুক্ত করে দিলে
ক্ষণিককাল বারান্দায় বসে উড়ে চলে গেল
ডানার সবটুকু শক্তি একত্র করে; আকাশের নীলে!
হয়ত মুক্তি পেল বন্দীদশা থেকে।
আমিও মনের দরজা খুলে দিলাম চিরতরে
মুক্ত করে দিলাম আমার সঞ্চিত সবটুকু ভালবাসা
এ দরজায় আর কখনও খিল দেব না; সত্যি বলছি!
প্রহরের পদাঙ্ক অনুসরণে পথ চলতে চলতে
আর কোন ভালবাসা যেন প্রতারিত না হয়-
এই মনের বন্দীদশায়!
কত শ্রাবন এলো গেলো-
কতো ফুল ফুটলো- ঝরে গেল অপেক্ষায়
পোকায় খেয়ে ফেললো বাক্সে রাখা চিঠিগুলো
আমি বাধা দেইনি, অনধিকার চর্চা যদি হয়!
যদি আবার কোন ভুল হয়...
যদি স্বপ্নগুলো বিদ্রোহ করে আকাশের নীলের সাথে?
জোচ্চুরি করে বৃষ্টিভেজা মাটির গন্ধের সাথে?
আমার ভয় হয়...
বড্ড ভয় হয়
কোন কিছুই নেই আগের মত
শুধু মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে প্রাক্তন পাগলামীগুলো
গলাটিপে হত্যা করার সুখ নেই, ‘ইতি’ লেখার
দায়বদ্ধতা থেকে বিদায়, ভালবাসা থেকে মুক্তি
নতুন কোন মঞ্চে অভিনয় করার
অথবা নিছক ভুল বসেই
অনধিকার চর্চা করার...