বিস্তীর্ণ প্রান্তরে নগ্ন পায়ের শিশুদের কোলাহল
জাগিয়ে তুলতে চায় যেন-
অচেতনতায় নিমগ্ন দিনরাত্রি।
তবুও ভ্রুক্ষেপ নেই;
কোথায় যেন হয়েছে গড়মিল
সহস্র উইপোকা উড়ে চলেছে, এর মাঝেই
এগিয়ে চলেছে মৃত্যুর মিছিল!
চড়ুইভাতি খেলা সাঙ্গ হয়ে এল বলেও শেষ হল না
আষ্টেপৃষ্টে তাকে জড়িয়ে ধরে-
যমদূত বলে বারংবার ভুল হয়
মনে হয় এই তবে শেষ হোক-
মৃত্যুই হোক শেষ পরিণতি
কোলাহল বাড়তে থাকে
বলিদানে চড়তে থাকে নগ্ন শিশু কোমলমতি!
আমার জন্য মেঘ দূত হয়ে আসে না-
নিয়ে আসে ঘনায়মান আঁধারের কুন্ডলী
যেখানে আমি নিত্য হারাই
সেই সাথে মনে পড়ে যায় মাতৃগর্ভের স্বরুপ
অথচ মা নিজেই জানে না-
কিভাবে হল এই শিশুর আগমন
তবুও শরীরে নব-স্পন্দন; ত্বকে বিলম্বিত শিহরণ, অগ্নিওশ্রু!
ঝরতে থাকে রক্তলাল দুই চোখ বেয়ে
এ কেমন নেশা?
টলমলে পায়ে মুখ থুবড়ে পড়ে পুরোহিতের আসন, বেদী সব!
অর্ঘ্যের থালায় জায়গা পায়
তরতাজা অথচ অকালে ঝরা অমর শব
তুমি! তুমি কোথায়?
তাকিয়ে দেখ এই আমি তোমার ধৈর্যের শিখরে-
উন্নীত হয়েছি উদ্ধত চিত্তে
এক বুক সাহস নিয়ে; দ্বিধাহীন।
আজ তোমার ব্যবচ্ছেদ হবে
তোমার প্রতিটা টুকরাই খোরাক হবে
ঐসব নগ্ন পায়ের শিশুদের
যাদের পরিচয় জানাতে তুমি লজ্জিত ছিলে।