মৃত্যু উপত্যকার ওপাশ থেকে ভেসে আসে পাথরের স্রোত
আছড়ে পড়ে তোমার জানালার বন্ধ কাঁচে-
পরতে পরতে জমতে থাকে ঝরা ফুলের মত
শিশির সিক্ত ভোরের স্নিগ্ধতার মোহনা ছুঁয়ে
গাছের ঝরা পাতাগুলো চাপা পড়ে তুষারের ঢলে
রুদ্ধশ্বাসে অপেক্ষা করতে থাকে তোমার চুড়ান্ত সিদ্ধান্তের!
বুকের পাজর গুড়িয়ে বেরিয়ে আসা বাতাসটুকু
গুমরে মরে চার দেয়ালের কারাগারে।
তোমার ঠোটের উষ্ণ চুমু দু’টো ছুয়েছিল নক্ষত্রদ্বয়ের ললাট
ওরা বোঝেনি-
তুমি যে কখন সঙ্গী হয়েছিলে মৌনতার
ওরা আজ আর তেমন নেই।
একটি ঝরে গেছে ফোঁটা গোলাপ হয়ে পাথুরে প্রান্তরে
অন্যটি এখনও আছে কালের সাক্ষী হয়ে-
তোমার প্রচ্ছায়া গায়ে মেখে শীতলতার চাদরে মুড়ে।
চেয়েছিলে একটু ভালবাসা!
তুমি জানো না-
প্রতারণার আস্ফালনে এ যে যাবজ্জীবন কারাদন্ড
কেউ জানবে না তোমার হতাশা
কেউ দেখেও দেখবেনা তোমার ন্যায্য ক্রোধ
তোমার পাওনা কেউ শুধবে না!
যদি তুমি ফিরে আসো পূর্ণিমায় জলোচ্ছ্বাস হয়ে-
যদি তুমি ফিরে যাও তীর ভাসানো ক্লান্ত ভাঁটা হয়ে-
তুমি রয়ে যাবে লোকচক্ষুর অন্তরালে-
আমাদের অবাস্তব সৌধের ফলকে খোদাই হয়ে।
তোমার বন্ধ মনের দুয়ারে আঘাত করে ফিরে আসে বারেবারে
পিছু ফিরে চলে যায় জ্যোৎস্নার ভগ্নাংশ হয়ে-
বিধাতাকে দেয়া নৈবেদ্যের অন্তরালে
আর আমার মৃত্যুর বারান্দায় আজও শকুনেরা উল্লাস করে।