অপ্রতিসম ভালবাসার দুর্বার উন্মেষ নিয়ে
পাহাড়ের চূড়ায় লেগে থাকা চূর্ণ জোছনার প্রতিফলনে
আমি আজও দেখতে পাই সেই প্রিয় মুখ!
‘ভালবাসি’ তোমাকে বলা হয়নি কখনই
আমার ছিল না কোন সুউচ্চ পাখির ডানা
খামে বন্দী করে একে একে বিসর্জন দিয়েছি
তবুও যেন বাস্তব বলেই মনে হয়
মনের মুকুরে প্রতিবিম্ব প্রাণ পায়
আমি হতবাক হইনা, বাঙময়ও হই না
কারণ এই প্রতিবিম্ব তোমার মতই চঞ্চল
ধরা দিয়েই হয়ত লুকোচুরি খেলবে আলোছায়ার অনুপাতে!
জানি না আমার এই অনুচ্চ স্বগতোক্তির শেষ কোথায়
হয়ত কখনও মলাটবন্দী কবিতা হয়ে
আবার হয়ত হারিয়ে যাবে চিরতরে রৌদ্রস্নানে
পর্যবসিত হবে জীবনের অঙ্কের সীমহীন কিনারায়!
সাগর দেখা পাবে দিগন্তের
অসীম লুটাবে ধ্রুবতারার কাল্পনিক কক্ষপথে
তুলোর মত উড়তে থাকা কাশফুলগুলো
মিশে যাবে নদীর স্রোতে অযাচিত প্রাপ্তির আশায়।
দূর দূরান্তের অভিসার
খর্ব করে দেবে অতীত ভবিষ্যতের নিদাঘ বৈরিতা
ভাগ্যকে দোষারোপ করে আর কতকাল?
আর কিভাবে হবে নতুন উৎসের পুনরুত্থান?
পাহাড় চূড়ায় ব্যর্থ হয়ে উৎসের কাছেই ফিরে যায়
প্রতিবিম্বহীন-
আকন্ঠ তৃষ্ণার্ত অপ্রতিসম ভালোবাসা।