মা, আজ বারণ করো না
তোমার আঁচল দিও না অশ্রু মুছতে
আমাকে চিৎকার করে কাদতে দাও
বুকফাটা আর্তনাদ করতে দাও মা!
বুক জ্বলে যায়;
আমার সারা গায়ে ঘা পাঁচড়া
আমার কলিজা পুঁজে ভরা
আমার চোখের দৃষ্টিতে আজ শুধুই দূর্গন্ধ!
আমি তোমার দেয়া জন্মের ঋণ শোধ করবো
আমার পৈশাচিক আত্মার যজ্ঞ দিয়ে!
গঙ্গাজল, জমজমের পানি আমাকে স্পর্শ করে না-
গা ভরা পাপে পিছলে যায়।
মা তোমার জরায়ু কয়টি ছিল?
আমি কোন গর্ভাশয়ে ছিলাম মা?
উত্তর দাও মা!
তুমি আজ চুপ থাকলে
আমি কাকে বিসর্জন দেব?
কার চরণে তুলে দেব রক্তজবা?
এবার শোন আমার কথা-
আমার জন্ম দেয়া সন্তান কে আমি জারজ বানিয়েছি
এতিম খানায় মানুষ হচ্ছে ওরা; কারণ
আমি পরিশুদ্ধ সমাজের বুদ্ধিজীবী প্রতিনিধি!
আমি ছাদ থেকে ফেলে দিয়েছি আমার সদ্যজাত শিশুকে-
হাড় ভেঙে দিয়েও বেচেছিল হতভাগা
করুণ চোখে খুজেছিল মায়ের গন্ধ মেশানো মা’কে!
আমার সন্তান মরে পড়ে থাকে সিরিয়ার গুড়িয়ে যাওয়া ঘরে
আবার কখনও আয়লান কুর্দি হয়ে উপুড় হয়ে পড়ে থাকে-
টুকটুকে লাল জামা পরে আমার বিগলিত ফুসফুসে!
রে ধর্ষক! নরম মাংস আমার শরীরেও আছে
আয় ব্লেড দিয়ে ফালাফালা করে দে আমার চোখ, জিহ্বা সব!
আমার মেয়েকে বিদীর্ণ করিসনা রে কুলাঙ্গার গর্ভস্রাব...
খোদার আরশেও ধরে না তোর পাপ!
কোথায় তুই ব্লেড চালাস?
যেখান দিয়ে তুই এসেছিলি?
হায় পুরষজন্মের লজ্জা-
পাহাড়ও ধ্বসে নেমে যায় তবূও
জুড়ায় না অস্থিমজ্জা!
সেজদা থেকে মাথা উঠায়নি নবী মোহাম্মদ
ঘাড়ে খেলছিল ছোট্ট শিশু!
আজ ওরাই ঠাই পায় অনাথ আশ্রমে-
খুঁজে বেড়ায় মা নামক কোন পূন্যবতীকে
অথবা পরমপূজ্য কোণ ব্যাভিচারী বীর্যদাতাকে!
ও আমিনা-ও মরিয়ম-ও যশোধা- ও মায়া
শোন এই উদ্ধত মস্তক পাপিষ্টের কলুষ কথা!
গর্ভে ধরেছিলে মাত্র একটি মহামানব?
তবে আমি কোন ঔরসে জন্মালাম?
আমি আজ কেন দানব?