অলীর স্বপ্নের উপমায় গড়া
রৌদ্রছায়ার মাঝেই পথ ফুরালো
ভাবেছিলাম নতুন কোন পথের সন্ধান পাবো
কিন্তু তা আর হলো না!
যেদিকেই তাকাই সেদিকেই
উদ্দাম ঢেউয়ের মত তেড়ে আসে অন্ধকার
আমি চোখ বন্ধ করেই দেখতে চাইলাম
একমন মনের গভীরে
যেখানে আমি সাজিয়ে রেখেছি
অনেকগুলো মাটির মূর্তি
পাথরের হোক বা মাটির
মূর্তিতে কেউ প্রাণ প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে কিনা
জানি না
আদৌ কি তা সম্ভব? মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা?
আমি আবার চাইলাম মনের সেই ঘরে
কি সুন্দর! অদ্ভুত ভাবে সব জীবন্ত
কিভাবে হল প্রাণ প্রতিষ্ঠা?
কে বাচাঁলো ওদের?
আমি তো কোন শিল্পী নই
স্রষ্টাও নই! বরং এক অচ্ছুৎ
তোমাদের কল্পিত নগরী থেকে বিতাড়িত হয়ে
আমি এখন পথের শেষ প্রান্তে উপনীত
কতগুলো মাটির মূর্তি সাথে নিয়ে;
কি জীবন্ত! একদম অনিন্দ্য অচিন্ত্য
একসময় ওরা বিদ্রোহ করে
বেরিয়ে আসতে চায়
দেখতে চায় সেই পৃথীবিকে
যেখান থেকে আমি ছিলাম বিতাড়িত
আমি প্রাণপনে বাধা দিতে থাকি
ওরা শোনে না! বাস্তব হতে চায়;
ভাংতে চায় কল্পনার সকল শৃংখল!
ওরা সার্থক হয়,
বেরিয়ে আসে আমার মনের ভেতর থেকে
আমাকে ঘিরে ধরে,
জানতে চায় ওদের এতদিন আঁটকে রাখার হেতু
আমি নির্বাক নিস্তব্ধ! নৈঃশব্দ্য আমাকে ঘিরে ঘরে
ওরা নাছোড়বান্দা-
মাটির মূর্তি থেকে এখন ওরা পরিপূর্ণ মানুষ
পূর্ণ স্বাধিনতার স্বাদ ওরা পেয়েছে
অসহায় ভাবে আমি পথের শেষের দিকে তাকাই
নিকষ কালো আঁধার ফিকে হয়ে আসে ক্রমান্বয়ে
ওরা এখন আমাকে নিয়ে ব্যস্ত নয়
ব্যস্ত নতুন এক বসতির গোড়াপত্তনে
অখানে আমি অবাঞ্ছিত
আমাকে চেনে না ওরা এখন
আবার শুরু হয়ে গেল নতুন এক পৃথিবী
আমি যে পৃথিবীতে বাস করতাম,
সেটা নয়; তার পরে অন্য কোন এক পৃথিবী
দরজা বন্ধ...
আমার প্রবেশাধিকার নেই
আমি তো সেই অচ্ছুৎ
আঁধার কেটে যায়
পথ আবার প্রলম্বিত হয়
নতুন পথ শুরু হয় আবার
আমি চলতে শুরু করি
আবার নতুন পথে পথিক হলাম আমি
বুকের ভেতর শুরু হয় তোলপাড়
কারা যেন আঘাত হানছে বারেবারে
আমি ভীত হয়ে দৌড় দেই
ক্লান্ত হয়ে মুখ থুবড়ে পড়ি-
অলীক স্বপ্নের উপমায় গড়া –
আবার কোন অচেনা পথের শেষে।