সন্দিগ্ধ সময়ের অবনমনের ক্রান্তিকালে
শরতের শিশির বিন্দুর মাখানো শিউলি ফুলের মত
একটি একটি করে ঝরে পড়ে দীর্ঘশ্বাস!
জলে স্থলে যেদিকেই তাকিয়েছিলাম
দেখেছিলাম অজস্র কালোর মিলন মেলা
নৈবেদ্যর ফুলগুলো শুকিয়ে কালো হয়ে গেছে সেই কবেই।
আমার আরাধনা বুঝি আর শেষ হবার নয়...
রাত দিনের পালাক্রম বুঝিনি তখনও
চোখে পড়েনি চতুর্দশী চন্দ্রের শুভ্রতা
মঙ্গলের পীতবর্ণ আর সপ্তবর্ণিলার রঙের পার্থক্য ছিল হয়ত-
কিন্তু আমার কাছে ছিল শুধুই একরাশ
নিভৃত নিকষ কালো আঁধার।
সুখের মিথ্যে হাতছানি ভেবে
দুঃখের তরী ছেড়ে আমি পাড়ি দিতে চেয়েছিলাম
হতাশার ভেলায়- অজানার অনভ্যস্ত পথে পথে।
কখন যেন চলে এসেছিলাম জীবনতটের একপ্রান্তে
ভীষণ ক্লান্তিতে কখন যেন চোখের পাতায় আঁধার দিয়েছিও চুম
কতো সময় গিয়েছে কেটে-
জানি না কতক্ষণ দিয়েছিলাম ঘুম!
জেগে দেখি দূরে কি যেন দেখা যায়? তরী? হ্যাঁ তরীই তো!
বিশ্বাস করিনি-
কিভাবে করবো যে আমার কূলেই ভিড়বে?
তবে কি নিয়ে যাবে আমাকে এবার?
মনে জাগে কতো বিমর্ষ বিবশ শঙ্কা।
ভুল ভাংলো!
আমার দিলেই আসছে পালতোলা সেই তরী!
দহকাল অতীত হয়ে আমার সামনে দিয়ে চলে গেল একে একে-
দুর্দম দুর্নিবার স্বপ্ন নিয়ে আমি প্রতীক্ষায় থাকি-
কখন আসবে সে তরী?
কখন যাবে আমায় নিয়ে?