নদীর পাড়ে ছিল আমাদের বাড়ী।
বাবার কথা মনে নেই কিন্তু মা’কে মনে পড়ে।
মা বলেছিল, তার কবরের পাশে সজনে গাছ লাগিয়ে দিতে।
গাছের ঝরা পাতা, মায়ের নিঃসঙ্গতা-
দূর করতে পেরেছিল কিনা জানি না।
আমি কথা রেখেছি।
লাগিয়ে দিয়েছিলাম সজনে গাছ,
আর একটা কৃষ্ণচূড়া!
গাছের শাখায় আগুনরাঙ্গা ফুল দেখে
চিনে নিতাম মায়ের কবর।
দূরত্ব বেড়ে চলে ক্রমাগত-
নাগরিক যান্ত্রিকতার খোলসে আমি,
আবেগহীন কীট-পতঙ্গে পরিণত হই।
বহু বছর পর-
বাড়ীর পাশের সেই নদীর পাড়ে লাগিয়ে দিলাম
নতুন কিছু সজনে গাছ।
এখন পাতাগুলো ঝরে পড়ে পানিতে;
ভেসে যায় আর না ফেরার জন্যই।
চূড়ান্ত সমাপ্তি ঘটে-
হয়ত আমারই।