অবচেতন মনের অন্তরালে গড়ে চলেছি এক আত্মাশূন্য দ্বীপ-
তিল তিল করে; জমাটবাঁধা রক্ত, অশ্রু আর
ক্ষয়ে যাওয়া বিবেকের ধ্বংসাবশেষ দিয়ে!
সেখানে হবে আমার স্বেচ্ছাস নির্বাসন। অচিরেই!
কিছু ঘৃণা আর হিংসার ভেলায় চড়ে-
না পাওয়ার অতৃপ্তির পানিতে ভেসে!
সেখানে গিয়ে আমি নিতে চাই বুক খালি করা
বায়ুহীন নিঃশ্বাস-
দ্রোহের অনলে জ্বলে ওঠা ধোঁয়ার কুন্ডলী থেকে।
স্বেচ্ছা নির্বাসনের ‘আমি’ তাড়া খাওয়া কুকুরের মত পালাবে না
লজ্জিত হয়ে, সভ্য মানুষের উচ্চমার্গীয় ভ্রুকুটি থেকে বাঁচতে।
মার্বেল পাথরে বাঁধানো সংস্কার আর অহংকারের শ্যাওলায়
পা পিছলে পড়ে নিয়মতান্ত্রিকতার গড্ডালিকায় গা ভাসাবে না
সেই ‘আমি’!
বাজবে না অচল পয়সার মত ধাতব ঝংকার তু্লে।
হাসবে না সবার অগোচরে পুড়ে ছাই হওয়া দঃখ গোপন করে।
শুধু অসীম সহিষ্ণুতা নিয়ে দেখতে থাকবে-
আলোর প্রস্তরময় তীরে ক্রমাগত আছড়ে পড়া আঁধারের ঢেউ।
সহস্রাব্দের সিঁড়ি বেয়ে সেই ‘আমি’ নীচে নামছে-
একাই যাচ্ছে। তাকে অনুসরণ করছেনা কেউ।