কুকুর কুন্ডলী হয়ে নেতিয়ে পড়ি মাটিতে ঘৃণায়!
শরীর জ্বলে ওঠে, চিতার পোড়ার আগেই।
যদি একবারে সব কিছু ছিঁড়ে ফেলতে পারতাম-
পিত্তথলি নিংড়ে বেরিয়ে আসে
পাকস্থলীতে ঢোকানো নোংরা সংস্কার।
বাতাসে লাশের গন্ধের সাথে ভেসে আসে
পিটিয়ে হত্যা করা বালকের অন্তিম হাহাকার- পানি পানি!
লাশের গন্ধ চাপা পড়ে হায়নারূপী কতগুলো
সমকামী দানবের বলাৎকারের বীর্যের দূর্গন্ধে!
আমার পেটে পাক দিয়ে ওঠে আবার পিতবমি-
ঘৃণায় আমি কুকুর থেকে সাপের কুণ্ডলী ধারণ করি!
রেহাই নেই, মরে যাবার আগ পর্যন্ত রেহাই নেই।
একের পর এক শিশুর শরীর দানবের ভোগে যাবে
সেই অবসরে আমাদের সমাজ একটু দম ছাড়বে।
যেই নিঃশ্বাসে বেরিয়ে আসবে আমাদের সভ্যতার অহঙ্কার-
আমি পানির পাত্র হাতে নেই।
পানিতে দেখতে চাই মৃত শিশুটির লাশ-
আমার হাত কেঁটে যায় ভাঙ্গা কাঁচের টুকরায়
ফোট ফোঁটা হয়ে ঝরতে দেখি-
আমার শরীরের প্রবাহমান অবিশ্রান্ত ঘৃণা।