চিলের মত শ্যেনদৃষ্টি দিয়ে তাকিয়ে আছে
কখন মালি চোখের আড়াল হয়...
ক্লান্ত মালিকে ধোঁকা দিয়ে
ছেলেটি নিয়ে যায় ডাল ভেঙ্গে
সদ্য কলি থেকে বের হওয়া লাল গোলাপটি।
বহুদিনের পিপাসা
গোলাপটিকে ফুঁটতে দেখবে
এক নিঃশ্বাসে টেনে নেবে সবটুকু সৌরভ...
কখন ভরে দিবে গোলাপের পাপড়ির ভাঁজে
আঁশটে গন্ধের সান্দ্র তরল।
ছেলেটির গায়ের পুরুষালি গন্ধে
গোলাপটি কাঁটাসহ অবনত হয়ে ধরা দেয়
অজ্ঞাত এক শিহরণের আশায়।
একদল ছেলে লোলুপ চোখে তাকায়
চোখের ক্ষুধা মেটাতে চায়...
পালাক্রমে হাতে তুলে নেয় গোলাপটি।
ছুঁয়ে দেখে, মনের ক্ষুধা মিটিয়ে স্পর্শ করে
গন্ধ নেয়... জিহ্বার উপরে লালা জমতে থাকে...
গোলাপ প্রেমিক ছেলেটি বিজয়ীর ভঙ্গিতে
দাঁড়িয়ে থাকে ঔদ্ধ্যত্বপূর্ণ ভঙ্গিমায়...
সবার হাত ঘুরে আসে
সে আবার তুলে নেয় হাতে গোলাপটি...
চোখে মুখে অব্যক্ত তৃষ্ণা।
সবাই তাকিয়ে দেখে-
সাবাশ দিয়ে বলে- তুই তো দারুণ প্রেমিক প্রবর
আমিও শাবাশ দেই...
বিবমিষা নিয়ে বলি-
তুই একটা জীবন্ত শূকর।