যতটুকু ছিল আশা, সব বলিদান দিয়ে
রক্তস্নাত দিগন্ত ছুঁয়ে আমি আবেগাপ্লুত।
বহুবিধ অসামঞ্জস্যতার নান্দনিকতায়
ম্রিয়মান শূন্যতায় এনেছে বৈচিত্র।
সীমাহীণ দিগন্তের বাস্তবতার মানদণ্ডে
আমি মেপে নেই যান্ত্রিক মুগ্ধতা!
তোমার নক্ষত্র রঙ ছড়ায় নি আমার নিঃশ্বাসে
ক্ষণিকের ফানুশ হয়ে উড়ে যায় হাওয়ায় ভেসে।
রক্তের ফোঁটা দিয়ে আঁকা আমার সেই আল্পনা
ভাস্বর হয়ে থাকে দিগন্তের বিশাল ক্যানভাসে।
কিছু মুহুর্ত আছে যা বিদ্ধ করতে থাকে চেতনা-
সহস্রাব্দও লঘু করতে পারেনি যে যন্ত্রণা।
জারজ সন্তানের জন্য বারাঙ্গনার স্তনবৃন্তে লেগে থাকা
শ্বেতশুভ্র মুক্তোকণার সাথে-
লম্পট কামুকের শিশ্নাগ্র উগরে বেরিয়ে আসা
বীর্য ফোঁটার রঙে যে মিল;
অভয়াশ্রয়ের মোড়কে লেপ্টে থাকা ভালোবাসার সাথে
আমার জীবন্ত অঙ্গার হওয়া শরীরের সেই ঐকতান নেই।
তাই রক্তের শেষ বিন্দুটিও দিয়ে দিলাম!
চূর্ণবিচূর্ণ অস্থিমাংসে সাজিয়ে দিয়েছি আবার-
ঘুরপাক খেয়ে রক্তিম দিগন্ত ছুঁয়ে
আমি ফিরে আসি বারবার।